বাংলা

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহায়ক বিআরআই

CMGPublished: 2024-07-22 12:00:30
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রকল্পে চার বছর ধরে কাজ করছেন বাঙালি প্রকৌশী হক। তিনি বলেন, “শূন্য ভিত্তি থেকে এ পর্যন্ত চীনা প্রকৌশলী হাতে ধরে আমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছেন। এখানে কাজ করার জন্য আমি খুব গর্বিত।” তিনি আরো বলেন, অনেক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পরও চাকরি পেতেন না। কিন্তু বিদ্যুত্ কারখানা তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দিয়েছে।

প্রকৌশলী হক আরো জানান, বিআরআইয়ের আওতায় যৌথ নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য অনেক সহায়ক। বিদ্যুত্ বিভাগ শুধু বহু-সুবিধা ক্ষেত্রের অন্যতম। পায়রা বিদ্যুত্ কারখানা ছাড়া বাংলাদেশের আরো অনেক জায়গায় বিআরআইয়ের কারণ উন্নয়ন হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ নতুন জ্বালানি উন্নয়ন করার চেষ্টাও চালিয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা ও অর্থের অভাব দেশটির জ্বালানি রূপান্তরের পদক্ষেপ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া দেশটির ‘২০৪১ ভিশন’ বাস্তবায়নের ওপরও প্রভাব ফেলে। কিন্তু চীনা অংশীদারের অংশগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে এসবই পরিবর্তিত হয়।

২০১৯ সালে হুয়াসিন হোল্ডিংস কোম্পানি লিমিটেডের বিনিয়োগে ময়মনসিংহ ফটোভোলটাইক প্রকল্প শুরু হয়। পরের বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পের অপারেশন চালু হয়। চীন থেকে আনা প্রায় ১.৭ লাখ সৌর প্যানেল স্থাপন করে প্রকল্পটি সৌরশক্তিকে বিদ্যুতে পরিণত করে, আলোকিত হয় হাজার হাজার পরিবার। এ বিদ্যুত্ কেন্দ্রের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশ ৫০ হাজার টনের বেশি কার্বন নির্গমন কমিয়েছে।

স্থানীয় কৃষক ফজলুর বলেন, “আমাদের এখানে ফটোভোলটাইক পাওয়ার স্টেশন থাকাতে খুব ভাল হয়েছে। আগে, এখানকার বিদ্যুত্ সরবরাহ সীমিত ছিল। মাঝেমাঝে বিভ্রাট ঘটতো। এখন ফটোভোলটাইক পাওয়ার স্টেশনের কারণে বিদ্যুত্ সরবরাহ স্থিতিশীল হয়ে উঠছে।”

তিনি আরো বললেন, পাওয়ার স্টেশনটি শুধু স্থানীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তা নয়, এটি নগরায়নের মানও উন্নীত করছে। স্টেশনটির কারণ মানুষ আশপাশে কৃষিকাজ ও ব্যবসা শুরু করেছে। একটি সাধারণ গ্রাম, শহরে পরিণত হয়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে, জীবনযাপনও সুবিধাজনক হয়েছে।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn