বাংলা

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহায়ক বিআরআই

CMGPublished: 2024-07-22 12:00:30
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অন্যদিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় শহর কক্সবাজারে দেশটির প্রথম কেন্দ্রীভূত বায়ু শক্তি প্রকল্পের ২২টি ব্লোয়ার ঘুরছে।

চীনের উলিং পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড প্রকল্পটি বিনিয়োগ ও উন্নয়ন করে, পাওয়ার চায়না ছেংদু ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড প্রকল্পটির সাধারণ নির্মাণকাজ করে। ২০২৩ সালের অক্টোবর চালু হবার পর থেকে প্রকল্পটি মোট ৮ কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, প্রতি বছর ১৪.৫ কোটি কিলোওয়াট সবুজ বিদ্যুত্ সরবরাহ করে, ১ লাখ পরিবারের বিদ্যুত্ চাহিদা পূরণ করে, ৪৪.৬ হাজার টন কয়লা খরচ কমায় এবং ১ লাখ টন কার্বনডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করে।

বাঙালি প্রকৌশলী আলম জানান, বায়ু-বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রত্যেক বায়ু ঘূর্ণনযন্ত্রে সর্বশেষ চীনা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। যা সহজে সেকেন্ডে ৫.২ মিটারের বাতাসের গতিবেগ মোকাবিলা করতে পারে।

উলিং পাওয়ার বাংলাদেশের শাখা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার হেই চাও বলেন, “এটি হলো বিনিয়োগ পক্ষ হিসেবে চীনা প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো বায়ু শক্তিকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে এবং দেশটির নতুন জ্বালানি উন্নয়নের জন্য এটি একটি মাইলফলক প্রকল্প।” প্রকল্পের নির্মাণ প্রক্রিয়ায় কোম্পানি চীনা পরিকল্পনা, চীনা মানদণ্ড, চীনা সরঞ্জাম ও চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। স্থানীয় পক্ষের স্বীকৃতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য প্রথম দফা বায়ু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের ব্যবহারিক মেধাশক্তি লালন করেছে।

“এটি হলো আমাদের দেশ আরো দূষণমুক্ত ও আরো টেকসই জ্বালানি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।” এটি চালু হবার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব রহমান এমন কথা বলেন।

বিদ্যুত্ কেন্দ্র ছাড়া চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ট্রান্সফরমার সাবস্টেশন এবং বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন লাইনের নির্মাণ, সম্প্রসারণ, আপগ্রেড ও রূপান্তরের মতো প্রকল্পে অংশ নেয়। ফলে কার্যকরভাবে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড উন্নীত করে স্থিতিশীল অপারেশন এবং ট্রান্সমিশন ক্ষতি হ্রাস লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়তা দেয়।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn