বাংলা

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহায়ক বিআরআই

CMGPublished: 2024-07-22 12:00:30
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পেয়ারা থেকে দূরে তাকালে, দেখা যায় একটি উঁচু কুলিং টাওয়ার কারখানার উপরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। কারখানাটি চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে নির্মিত দেশটির বৃহত্তম বিদ্যুৎ কারখানা—পায়রা। এটি, প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ ইউনিটের আল্ট্রা-সুপারক্রিটিকাল কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

বাংলাদেশের কয়লার মতো খনিজ সম্পদের অভাব রয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে, বিদ্যুত্ ক্ষেত্রের অবকাঠামো যথেষ্ট নয়। অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধিতে সৃষ্ট বিদ্যুত্ চাহিদা বাড়ার পরিস্থিতিতে দেশটির বিদ্যুত্ সরবরাহের বিরাট ঘাটতি আছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

এক অঞ্চল এক পথ উদ্যোগে’র (বিআরআই) আওতায় ২০১৬ সালে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে গঠিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চীন বিদ্যুত্ কোম্পানি। ‘

২০২২ সালে বিদ্যুত্ কারখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারখানাটির বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হবার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সার্বিক বিদ্যুতের সম্পূর্ণ কভারেজের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।

“পায়রা বিদ্যুত্ কারখানা বাংলাদেশের বিদ্যুত্ সরবরাহের দৃঢ় ভিত্তি।” কোম্পানির চীনা পক্ষের সাইট প্রযুক্তি ম্যানেজার ওয়াং সিয়াংজি বলেন, প্রতি বছর বিদ্যুত্ কারখানা বাংলাদেশের জন্য ৮৫৮ কোটি কিলোওয়াট স্থিতিশীল ও নির্ভরশীল বিদ্যুত্ সরবরাহ করতে পারে। যা সারা দেশের বিদ্যুত্ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ।

এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুত্ কারখানা স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য ৮ হাজার ৪০০টি কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং প্রায় ৬ হাজার ৩০০ জনকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এর মাধ্যমে এটি স্থানীয় মেধাশক্তি লালনের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।

123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn