থাই ফলবাগান থেকে চীনের বাজার, ডুরিয়ানের ‘উত্তরযাত্রার গল্প’
পূর্ব থাইল্যান্ডে ডুরিয়ান বাজারে আসার মওসুম চলছে। ফল চাষী স্যাসিথন শ্রমিকদের ফল তোলা তদারকি করছেন। ১০-১২ মিটার উঁচু ডুরিয়ান গাছে, এক শ্রমিক কাঁচি দিয়ে ডুরিয়ানের বোঁটা কাটছে, আর গাছের নিচে তার সঙ্গী বস্তা মেলে গাছ থেকে পড়া ডুরিয়ান ধরছে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ‘ফলের রাজা’ বলে ডুরিয়ানের সুনাম আছে। স্যাসিথনের জন্মস্থান থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চাঁন্থাবুড়ি প্রদেশ গুরুত্বপূর্ণ ডুরিয়ান উত্পাদন স্থান। রাজধানী ব্যাংকক থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে এলাকাটি অবস্থিত। গাড়িতে করে ব্যাংকক থেকে চাঁন্থাবুড়ি প্রদেশে যাবার পথে সাংবাদিকরা মাঝেমাঝে ডুরিয়ান ভরা ট্রাক দেখতে পান। রাস্তার দু’পাশে ফলের স্টলে বিভিন্ন রকমের ডুরিয়ান থরে থরে সাজানো দেখা যায়।
স্যাসিথন দশ-বার বছর ধরে ডুরিয়ান ব্যবসা করছেন। তার বাগানে ২ হাজারের বেশি ডুরিয়ান গাছ লাগানো হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছর অনাবৃষ্টির কারণে, ডুরিয়ানের উত্পাদনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তবু বাজারে চাহিদা বেশি। ব্যবসা খারাপ নয়। তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েক ধরনের ডুরিয়ান সরবরাহ করি। আগে পাঁকা জালুন ডুরিয়ানের পাশাপাশি চীনা ভোক্তাদের প্রিয় গোল্ডেন বালিশ ডুরিয়ানও আছে।
স্যাসিথনের বাগানে ডুরিয়ান তোলার পর খুব শিগগিরই কাছাকাছি একটি প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় পাঠানো হবে। সেখানে শ্রমিকরা তাজা ডুরিয়ানের শ্রেণীবিভাজন, ওজন করা, প্যাকেজিং ও ট্রাক লোড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।
সেখানকার দায়িত্বশীল ব্যক্তি ভিরাচাট জানান, চীন; থাই ডুরিয়ানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার। তাদের কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করা সব ডুরিয়ান চীনে রপ্তানি হবে। চলতি বছর তারা চীনে ২৩ কন্টেইনার রপ্তানি করেছেন। এর মধ্যে বিমানে ২০ শতাংশ, নৌপথে ৪০ শতাংশ এবং স্থলপথে ৪০ শতাংশ ডুরিয়ান পরিবহন করা হয়েছে।