মহানগরের আধুনিক গ্রামগুলো
সম্পত্তি কিনে, শিল্প পার্ক উন্নয়ন করে এবং প্রকল্পে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে পাই চুন কোম্পানি যেন একটি বড় জাহাজের মতো আশ্রয় দিয়ে দুর্বল গ্রাম অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিক মহানগর ও গ্রামের মিশ্রণে উন্নয়নের সুযোগ দেয়।
তাহলে পাই চুন কোম্পানি কী কী সাফলতা অর্জন করেছে? আমরা তুং ফেং একটি গ্রামে দেখতে যাব।
গত বছরের শেষ দিক এ পর্যন্ত তুং ফেং গ্রাম পাই চুন কোম্পানি থেকে মোট ৫৫ লাখ ইউয়ানের লভ্যাংশ পেয়েছে। গ্রামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আয় বৃদ্ধি হবার পর তারা গ্রামে পাকা-রাস্তা নির্মাণ করেছেন, গ্রাম বাসিন্দাদের জন্য সেবা কেন্দ্র ও প্রবীণের জন্য ক্যান্টিন রুম প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং এতে গ্রামের চেহারাও পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়েছে।
বর্তমানে পাই চুন কোম্পানির অধীনে কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ ২৫০ কোটি ইউয়ান এবং ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ কোম্পানিটি মোট ১৩টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করে এবং নানা গ্রাম মোট ৯৩ কোটি ইউয়ান লভ্যাংশ পেয়েছে।
সম্প্রতি ফেন সিয়ান এলাকায় অবস্থিতি শাংহাই এগ্রিকালচারাল ফ্যাক্টর এক্সচেঞ্জ কেন্দ্রে খোঁজ নেন সাংবাদিকরা। তারা দেখতে পান সেখানে কৃষিজমি ভাড়া ও ব্যবহার অধিকার, গ্রামীণ বসতবাড়ি ব্যবহারের অধিকার, কৃষি প্রযুক্তিসহ মেধাস্বত্ব, ক্ষুদ্র প্রকল্প ও ক্রয় চুক্তিসহ সব উন্মুক্তভাবে কেনাবেচা হতে পারে।
কিছু দিন আগে এখানে ৪ লাখ ৩০ হাজার ইউয়ানের একটি নিলাম হয়। এক্সচেঞ্জ কেন্দ্রের কর্মী দেখেন যে, একটি কোম্পানি জমা দেয়া একটি পরিত্যক্ত সরঞ্জাম বাজারে আবার বিক্রি হতে পারে। এ সরঞ্জামের জন্য উপযোগী ক্রেতা খুঁজে বের করতে নিলামের আয়োজন করা হয়। একটি পরিত্যক্ত সরঞ্জাম হিসেবে যার কোনো দামই ছিল না, সেটি কয়েক দফা বিডের পর অবশেষে ৪ লাখ ৩০ হাজার ইউয়ানে বিক্রি হয়। তার মানে কোম্পানির আয় ৪ লাখ ৩০ হাজার ইউয়ান বেড়ে যায়।