বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় ১০ বছরের কৃষি সহযোগিতা
উত্তর-পশ্চিম কৃষি ও বনবিদ্যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চু ত্য লান বলেন, “উজবেকস্তানে রোদ প্রচুর এবং এ বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে আমরা সোলার স্প্রিঙ্কলার ও স্মার্ট সমন্বিত পানি ও সার সেচ সরঞ্জাম আবিষ্কার করি। তার সাহায্যে স্থানীয় তুলার উত্পাদনের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বেড়েছে, পানি ব্যবহার ও বিনিয়োগ যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ৪০ শতাংশ কমেছে।”
বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ চালু হবার পর থেকে চীন বিশ্বের ৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ২ হাজারের বেশি কৃষি বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তি কর্মী পাঠিয়েছে; হাইব্রিড ধানসহ দেড় হাজার কৃষি প্রযুক্তি নানা দেশে জনপ্রিয় করিয়ে তুলেছে। এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ল্যাটিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলসহ নানা অঞ্চলে দারিদ্র বিমোচনে চীন দেয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আধুনিক কৃষি ও কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
চীনে আফ্রিকান ইউনিয়ানের স্থানীয় প্রতিনিধি রহমন্তলা অটোমান বলেন, আফ্রিকান কৃষির আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চীন। চীনের প্রযুক্তিগত সুবিধা ও নীতি আফ্রিকান দেশগুলো সহজে বুঝতে পারে।
চেচিয়াং প্রদেশের লি সুইতে বাস করেন উগান্ডা নারী রোস। তিনি খুব ভাল চীনা খাবার রান্না করতে পারেন। চলতি বছর তিনি আফ্রিকায় পরিবারের কাছে ফিরে যান এবং তার পরিবারের জন্য চীনের বিখ্যাত খাবার চাও চি তৈরি করেন।
অন্যদিকে, ইথিওপিয়ান কফি, চিলির অ্যাভোকাডো, কলম্বিয়ান কুইনোয়া চীনের স্থানীয় কফি ও দইয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি হয়। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালে চীনে কফি ব্যবসার আকার ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যাবে। চীনের বিভিন্ন শহরে স্থানীয় খাবারের সঙ্গে সমন্বয়ে নতুন স্বাদের কফি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেল্ট অ্যান্ড রোড-সংশিষ্ট দেশগুলোর কৃষিপণ্য চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলাসহ নানা মেলার মাধ্যমে চীনে সহযোগিতার সুযোগ পাচ্ছে।