বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় ১০ বছরের কৃষি সহযোগিতা
চীনের নর্থ-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধন মা লি লি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো এখনও খাদ্য ঘাটতির মুখে রয়েছে। দরিদ্র ও ক্ষুধার সমস্যা এখনও সমাধান হয়নি। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় কৃষিপণ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকার জন্য অর্থবহ।
বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ চালু হবার পর চীন ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো কৃষি শিল্প চেইন, সবররাহ চেইন ও মূল্য চেইন নিয়ে সহযোগিতা গভীর করে আসছে। সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে মধ্য এশিয়ায় খাদ্য গুদামজাতকরণ এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থা নির্মাণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ধান, রাবার ও ফল শিল্প চেইন, আফ্রিকা থেকে আনারস, চিনাবাদাম ও তুলো আমাদানি বৃদ্ধি এবং লাতিন আমেরিকান দেশগুলোর কফি ও চিনি বিশ্ব বাজারে আনা।
ভালো বীজ, কার্যকর প্রযুক্তি, বিক্রি চ্যানেল এবং চীনা বিশেষজ্ঞ ও কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা - এ সবের কারণে কাজাখস্তানের খামার মালিক রহিমজানভের খাদ্য চাষ ও বিক্রি নিয়ে আর কোনও চিন্তা নেই। তিনি চাষ এলাকা ৬০০ হেক্টর থেকে ২০ হাজার হেক্টরে উন্নীত করেছেন।
উত্তর-পশ্চিম কৃষি ও বনবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চাং চেং মাওয়ের অফিসে লাগানো আছে মধ্য এশিয়ার ৫টি দেশের ম্যাপ। ম্যাপে লেখা আছে নানান নোট, যা ৬০ বছর বয়সী এ চীনা কৃষি বিশেষজ্ঞের বেল্ট অ্যান্ড রোড সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে আসা যাবার প্রমাণ। চাং চেং মাও বলেন, তার উদ্যোগে কাজাখস্তানে একটি কৃষি দৃষ্টান্ত উদ্যান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা স্থানীয়দের জন্য বড় একটি ঘটনা। স্থানীয় জমি যদিও উর্বর তবে গমের রোগ প্রতিরোধ দক্ষতা দুর্বল। তাই উত্পাদিত পণের মান কম। কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে আদান-প্রদান সবসময় বেল্ট অ্যান্ড রোড আন্তর্জাতিক কৃষি সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চীন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কৃষি উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি শেয়ার করতে চায়। ২০১৬ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিম কৃষি ও বনবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কাজাখস্তানসহ নানা দেশে কৃষি দৃষ্টান্ত উদ্যান প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বীজ প্রজনন, জল-সঞ্চয় সেচ ও মাটির উন্নতিসহ নানা বিষয় নিয়ে সহযোগিতা করে।