উত্তর মেরুর রাতের প্রহরী লি বিন
লি বিন শুরুতে মহাকাশ পদার্থবিদ্যা নিয়ে লেখাপড়া করেননি। তবে এটি তার পিএইচডি গবেষণার বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শুরুতে প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং, তারপর প্লাজমা ফিজিক্স নিয়ে লেখাপড়া করেন। তার গবেষণার জন্য পেশাদার সরঞ্জাম ছাড়া ক্যামেরাও গুরুত্বপূর্ণ একটি টুল। তার গবেষণায় তার সব মেজর কাজে লাগছে।
২০১৮ সালের শীতকালে লি বিন আরোরার ছবি তোলেন এবং তিনি আবিষ্কার করেন যে ছোট এমন একটি আরোরা বেল্ট তিনি দেখেছেন, যা আগে কখনও আর কেউ দেখেননি। পরে অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন, এটি নতুন একটি আবিষ্কার। এখন তিনি নতুন আবিষ্কার নিয়ে প্রবন্ধ লিখছেন। তার মতে, এটি মহাকাশ আবহাওয়ার উপর ম্যাগনেটোস্ফিয়ার এবং আয়নোস্ফিয়ারের প্রভাবের প্রতিফলন।
লি বিন সব সময় বলেন, তিনি নিজে আরোরা বিষয়ক আধা বিশেষজ্ঞ। তিনি সাধারণ মানুষের মতো সহজ ভাষায় আরোরা বর্ণনা করেন, যাতে আরও মানুষ সেটা বুঝতে পারে।
নতুন অ্যালেসুন্ডে চীনা গবেষণাকেন্দ্রে আরোরা পর্যবেক্ষণের সরঞ্জাম সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি নরওয়ে মেরু গবেষণালয়ও আরোরা নিয়ে গবেষণা করে। লি বিনের মতে, বিভিন্ন দেশ এ ক্ষেত্রে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করে না, বরং প্রাকৃতিক ঘটনা নিয়ে সবাই আরও ডেটা অর্জন করতে চায় এবং পরস্পরের সঙ্গে শেয়ার করে। এটা গবেষণার জন্য সহায়ক।
মানুষের জন্য মেরু বিপদজনক একটি জায়গা। যদিও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে, তবে এখনও মেরু গবেষণা কর্মীরা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেন। প্রতি বছরে নতুন অ্যালেসুন্ডে মানুষের ওপর মেরু ভালুকের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। তাই এখানে হুয়াং হ্য স্টেশনসহ সব স্টেশনের দরজা খোলা থাকে। প্রয়োজন হলে সবাই কাছে একটি ঘরে সাশ্রয় নিতে পারেন। মেরু ভালুক বাইরে থেকে কেবল দরজা ধাক্কা দিতে পারে, টান দিতে পারে না। তাই এখানে দরজা এমনভাবে বানানো যে সেটা খুলতে ভেতর থেকে ধাক্কা দিতে হয়।