বাংলা

পশ্চিম মুখে আমার যাত্রা-পর্ব ২

CMGPublished: 2023-09-13 10:55:58
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

গুহার প্রাচীরচিত্রগুলো চমত্কার ও রঙিন; বুদ্ধ মূর্তিগুলো গম্ভীর। এগুলো বৌদ্ধ সংস্কৃতির মূল্যবান সাক্ষী।

ডংগাপিয়াং বৌদ্ধ গুহার রহস্য অন্বেষণ করার জন্য অভিযাত্রীরা সাহসের সাথে এই রহস্যময় পর্বতশ্রেণীতে পা রেখেছিলেন, ধাপে ধাপে পাথরের দেয়ালের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গুহাগুলোর আবিষ্কার করেছিলেন।

গুহার গভীরে তাঁরা প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ও সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। এই মূল্যবান আবিষ্কারগুলো ডংগাপিয়াং বৌদ্ধ গুহার দীর্ঘ ইতিহাসই তুলে ধরে।

এই মূল্যবান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় জনগণ সক্রিয়ভাবে গুহাগুলোর সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধারকাজে অংশ নেয়। তারা এসব গুহায় যাওয়ার পথ সহজতর করে।

ডংগাপিয়াং বৌদ্ধ গুহাগুলোও অনেক তীর্থযাত্রীকে আকৃষ্ট করে বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তার আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে। তাঁরা তাদের ভক্ত হৃদয় দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মের সর্বজনীন মূল্য উপলব্ধি করেন। হাজার বছর ধরে এই ভূখণ্ডে বৌদ্ধ সংস্কৃতি মুক্তার মতো জ্বলজ্বল করছে।

আমি সেখানে যেতে পারিনি। তবে তার জন্য আমি দুঃখিত নই। জান্দা আসার পথে আমি দুই পাশের পাহাড়ে বহু গুহা দেখেছি। অন্যদিকে বিকেলে থুও লিন মন্দিরে ওই সাক্ষাতকার আরও মজার ছিল।

বিকেলে আমি ও স্বর্ণা আপু বিশেষজ্ঞ ক্য সাংয়ের সঙ্গে থুও লিন মন্দিরে যাই। আমরা ছাড়া কখনও কখনও পর্যটকরাও আসেন সেখানে। মন্দিরে একজন তরুণ সন্ন্যাসীর সাক্ষাত্কার নিই আমরা। তিনি অতীশ দীপঙ্কর সম্পর্কে নানা গল্প শুনান আমাদেরকে, যিনি হাজার বছর আগে পাহাড় অতিক্রম করে তিব্বতে আসেন বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করতে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অনুবাদ ও রচনা করতে এখানে ১০-১২ বছর কাটিয়েছিলেন তিনি। জীবনের শেষ সময় তিনি তিব্বতে কাটিয়েছিলেন। তার সম্পর্কে আমি পরে একটি ভিডিও বানাবো তাই এখানে আর বিস্তারিত বলছি না। ওই বিকেলে আমরা থুও লিন মন্দিরে সুন্দর ও অর্থবহ সময় কাটাই। সে স্মৃতি কখনও ভুলব না।

首页上一页...23456全文 6 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn