জরা সমস্যা মোকাবিলায় চীনের নানা ব্যবস্থা
রু তুং জেলার সিপিসি কমিটির সম্পাদক চেন হুই ইউয়ু বলেন, ভাল উন্নয়নের গতি বজায় থাকলে জনগণকে উচ্চ মানের গণসেবা দেওয়া যায় এবং উচ্চ মানের যুবপ্রতিভা আকর্ষণ করা যায়। অনেক বিলিয়ন ইউয়ানের বাণিজ্যিক প্রকল্প রু তুং জেলায় চালু হয়েছে এবং বায়োমেডিসিন ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্প স্থানীয় প্রধান শিল্পে পরিণত হচ্ছে। এসব শিল্প ৮ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে।
২০২২ সালে রু তুং জেলার জিডিপি ১৩০ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায় এবং পাবলিক বাজেট ও করসহ নানা সূচকে চিয়াং সু প্রদেশের মধ্যে শীর্ষ তিনে থাকে। বিগত তিন বছর ১ বিলিয়ন ইউয়ানের মোট ৫৭টি প্রকল্প রু তুং জেলায় শুরু হয়েছে এবং সেখানে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৫৮ কোটি ইউয়ানে। রু তুং জেলার মতো চীনের নানা জায়গায়, যেখানে প্রবীণদের সংখ্যা বেশি সেখানে আরও দ্রুত গতিতে উন্নয়ন অর্জিত হচ্ছে।
পাশাপাশি চীনে প্রবীণবান্ধব সমাজ গড়ে তোলা হচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নার্সিং হোম গড়ে তোলা হচ্ছে এবং নার্সিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। জনসংখ্যার সুবিধা মানে মানুষের সংখ্যা যখন বেশি হবে, তখন উচ্চ মানের মানুষের সংখ্যাও বেশি হতে হবে। যুবপ্রতিভা আর্কষণ করতে নানা ব্যবস্থাও গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার। যেমন ২০১৬ সালে চাং সু প্রদেশের লিউ লি ছেং ও তার গবেষণা দল রু তুং উচ্চ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পার্কে আসেন এবং তারা নতুন সনাক্তকরণ প্রযুক্তি এবং নতুন ইন-ভিট্রো ডায়াগনস্টিক রি-এজেন্টগুলোর উত্পাদন ও বিক্রির কাজ করেন। এ যুব গবেষণা দলের গড় বয়স মাত্র ২৮ বছর এবং তাদের ৮০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্থানীয় মানুষ নন। বিদেশ থেকে শ্রেষ্ঠ যুবপ্রতিভা আনতে রু তুং জেলা কর্তৃপক্ষ একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এ পরিকল্পনার আওতায় প্রতি বছর তারা ৫০জন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিভা এবং ৪ হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক নিয়ে আসে জেলায়। পাশাপাশি পেশাদার প্রযুক্তিকর্মীদের নানা ধরনের প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেয়। এখন রু তুং জেলার একটি বন্দর উন্নয়ন এলাকায় বাইরে থেকে আসা মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। রু তুং জেলার মতো অনেক জায়গা শ্রেষ্ঠ ও দক্ষ মানুষ আকর্ষণ করতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ফলে অন্য জায়গা থেকে আসা মানুষ স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে এবং শহরের আধুনিকায়নে সমর্থন যোগাচ্ছে।