জরা সমস্যা মোকাবিলায় চীনের নানা ব্যবস্থা
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন-প্রকাশিত উপাত্তে দেখা যায়, ২০২১ সালে চীনে অক্ষম, আধা-অক্ষম ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত প্রবীণদের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫০ লাখ। তাদের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটাও জরুরি। শাং হাইয়ের বাসিন্দা দাদি সুন বিমার সুবিধাভোগী একজন প্রবীণ। তার স্বামী অস্ত্রোপচারের পর মূলত নিজের যত্ন নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। দাদী সুনের নিজের শারিরিক অবস্থাও ভাল না। বিমার আওতায় তাদের জন্য একজন পরিচর্যাকারী নিয়োগ করা হয়। সপ্তাহে দু বারের মতো চু সু মিন দাদী সুন ও তার স্বামীকে যত্ন নিতে বাসায় আসেন।
২০২১ সাল থেকে শাংহাই চিকিত্সা বিমা ও বেসামরিক বিষয়ক বিভাগ যত্ন বিমার নিষ্পত্তির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি সন্তান জন্ম দেওয়া ও লালন-পালনের ক্ষেত্রেও সমর্থন দেয় সরকার। যেমন যদি কোনও পরিবারে শিশুর সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে তাদেরকে বাড়ি কেনার সুবিধা দেওয়া হয়, বাচ্চা জন্মের খরচ মিটানো হয় চিকিত্সা বিমার অর্থ দিয়ে এবং দু বা তার চেয়ে বেশি বাচ্চা জন্ম দেওয়া পরিবারকে ভতুর্কি দেওয়া হয়।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ চীনে শিশুর যত্ন নেওয়া সংস্থার সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫ হাজারে। পাশাপাশি চীনে গড়ে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চীনা শিক্ষা বিশ্ব মানের। পরিসংখ্যান বলছে, চীনে মোট ২৪০ কোটি মানুষ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে এবং নতুন কর্মীরা গড়ে ১৪ বছরের মতো শিক্ষা গ্রহণ করেছে।
চীনের চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনা এবং ২০৩৫ এজেন্ডায় চীনা মানুষদের গুণমান উন্নয়নকে প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে এবং মানবসম্পদের মান এবং মানব উন্নয়ন ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নবায়ন এবং শিল্পের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছে চীন এবং উচ্চ মানের লোকসংখ্যা চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়ন অর্জনকে সহায়তা করছে।