বাংলা

জরা সমস্যা মোকাবিলায় চীনের নানা ব্যবস্থা

CMGPublished: 2023-08-21 10:33:49
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জনসংখ্যা একটি দেশের উন্নয়ন এবং একটি জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির আর্থিক কমিশনের এক সম্মেলনে জোর দিয়ে বলেছেন, চীনা জাতির মহান পুরুদ্ধারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জনসংখ্যার উন্নয়নের। মানবসম্পদের মানোন্নয়নের মাধ্যমে চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়নকে সমর্থন দেওয়া হবে। বর্তমানে চীনের জনমিতিতে এসেছে নানা বৈশিষ্ট্য। যেমন দেশটিতে কম বয়স্কদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অঞ্চল ভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে স্থানীয় সরকার।

ওয়ে হাই চীনের শান তুং প্রদেশের একটি উপকূলীয় শহর। এখানে মানুষের গড় আয়ু ৮১ দশমিক ৫৬ বছর। এটা শান তুং প্রদেশ তথা গোটা চীনে মধ্যে সর্বোচ্চ গড় আয়ু। সাতাশি বছর বয়সী ওয়াং চু মিন অবসর জীবন কাটাতে ওয়ে হাই শহরে এসেছেন। তিনি জানান, এখানে সব নার্সিং হোমে হাসপাতাল আছে এবং সেগুলো জাতীয় চিকিত্সা বিমা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। এখানে প্রতিদিন ডাক্তার তাদেরকে দেখতে আসেন; হোমে অবস্থানকারীরা ভাল জীবনযাপনের নিশ্চয়তা পান।

সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় ওয়ে হাই শহরে নির্মিত হয়েছে ১৬২টি নার্সিং হোম এবং এর মধ্যে ৮৪ শতাংশই হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের নার্সিং হোম। প্রবীণদের মধ্যে যাদের আর্থিক সমস্যা আছে তাদেরকে এখানে থাকার ব্যাপারে সাহায্য দেয় সরকার।

২০২২ সালের শেষ দিকে চীনে ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮ কোটি এবং জনসংখ্যায় বার্ধক্যে তীব্রতর হতে থাকে। প্রবীণেরা যাতে অবসর জীবন উপভোগ করতে পারেন, সেজন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার।

চীনের ছুংছিং শহরের চুং হ্য গ্রামে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে প্রকৃতি ও স্বাস্থ্যঘর, যেখানে স্বাচ্ছাসেবকরা বিনামূল্যে প্রবীণদেরকে ফিজিওথেরাপি সেবা দেয়। অন্যদিকে, সি ছুয়ান প্রদেশের ছেং তু শহরের হুই লং কমিউনিটিতে প্রতি সোমবার থেকে শুক্রবার ডাক্তার ও অন্যান্য চিকিৎসাকর্মীরা বসেন রোগপ্রতিরোধ ও মৌলিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ছিয়াং সুয়ে লিয়ান তাদের মধ্যকার একজন নার্স এবং এ কমিউনিটির ২ হাজার প্রবীণের স্বাস্থ্য-অভিভাবক। ২০২১ সালে চীনের এইজিং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বুলেটিনে বলা হয়, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ চীনে মোট ১১ কোটি ৯০ লাখ প্রবীণ ব্যক্তি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সেবা গ্রহণ করেছেন।

“বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।” কথাগুলো বলেছিলেন চ্য চিয়াং প্রদেশের উ জেন জেলার বাসিন্দা হু হুই। গত বছর কমিউনিটি তাকে একটি স্মার্ট ব্রেসলেট দিয়েছে। এ ব্রেসলেটের মাধ্যমে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায়। উ জেন হোম নার্সিং সেবাকেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা জানান, এ ব্রেসলেট পরিহিত প্রবীণ যদি বাসায় পড়ে যান, তাহলে এ ব্রেসলেটের এসওএস বোতামে চাপ দিলে নার্সিং হোমের কর্মীরা অনলাইনে তার অবস্থান সনাক্ত করতে পারবেন। ইন্টারনেটের সাহায্যে স্মার্ট অবসর পদ্ধতি প্রবীণদের সুখী জীবন নিশ্চিত করেছে।

জনসংখ্যার মধ্যে প্রবীণদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে – এটা সমাজ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারা এবং মানবসভ্যতা এগিয়ে যাওয়ার একটি প্রতীক। অবশ্য এটি ভবিষ্যতে দীর্ঘ এক সময়ের জন্য চীনের একটি আসল মৌলিক জাতীয় পরিস্থিতি। ১৪০ কোটি জনসংখার বৃহৎ এই দেশটি কীভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে, তা চীনা নেতাদের জন্য একটি পরীক্ষা।

সিপিসির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রসের পর থেকে সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা প্রবীণ-সংশ্লিষ্ট কাজের ওপর বেশ গুরুত্ব দেন এবং জরা বৃদ্ধি মোকাবিলাকে জাতীয় কৌশল হিসেবে নির্ধারণ করেন।

চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত সিপিসির বিশতম কেন্দ্রীয় কমিটির আর্থিক কমিশনের একটি সম্মেলনে বলা হয়, সংস্কার ও নবায়নের মাধ্যমে জনসংখ্যার উচ্চ মানের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া এবং সে উন্নয়নকে মানুষের উচ্চ মানের জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত করে মানুষের সার্বিক উন্নয়ন ও সব মানুষের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে।

চিয়াং সু প্রদেশের একটি কাগজ কারখানার কর্মকর্তা লি ওয়ে সিয়াং বলেন, জেলায় আগে রাতের বেলায় কেউ বাইরে যেতো না, তবে এখন ভোর পর্যন্ত বারবিকিউ স্ট্যান্ড খোলা থাকে। দু’ বছর আগে যখন তারা এখানে এসে কারখানা খোলেন, তখন এখানে একটি বর্জ্যভূমি ছিল আর এখন বাণিজ্যিক সড়কে দোকানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ জেলার নাম রু তুং। এখানে জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ হচ্ছেন প্রবীণ এবং দীর্ঘায়ুর মানুষের জেলা হিসাবে এ জেলার খ্যাতি আছে।

রু তুং জেলার সিপিসি কমিটির সম্পাদক চেন হুই ইউয়ু বলেন, ভাল উন্নয়নের গতি বজায় থাকলে জনগণকে উচ্চ মানের গণসেবা দেওয়া যায় এবং উচ্চ মানের যুবপ্রতিভা আকর্ষণ করা যায়। অনেক বিলিয়ন ইউয়ানের বাণিজ্যিক প্রকল্প রু তুং জেলায় চালু হয়েছে এবং বায়োমেডিসিন ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্প স্থানীয় প্রধান শিল্পে পরিণত হচ্ছে। এসব শিল্প ৮ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে।

২০২২ সালে রু তুং জেলার জিডিপি ১৩০ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায় এবং পাবলিক বাজেট ও করসহ নানা সূচকে চিয়াং সু প্রদেশের মধ্যে শীর্ষ তিনে থাকে। বিগত তিন বছর ১ বিলিয়ন ইউয়ানের মোট ৫৭টি প্রকল্প রু তুং জেলায় শুরু হয়েছে এবং সেখানে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৫৮ কোটি ইউয়ানে। রু তুং জেলার মতো চীনের নানা জায়গায়, যেখানে প্রবীণদের সংখ্যা বেশি সেখানে আরও দ্রুত গতিতে উন্নয়ন অর্জিত হচ্ছে।

পাশাপাশি চীনে প্রবীণবান্ধব সমাজ গড়ে তোলা হচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নার্সিং হোম গড়ে তোলা হচ্ছে এবং নার্সিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। জনসংখ্যার সুবিধা মানে মানুষের সংখ্যা যখন বেশি হবে, তখন উচ্চ মানের মানুষের সংখ্যাও বেশি হতে হবে। যুবপ্রতিভা আর্কষণ করতে নানা ব্যবস্থাও গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার। যেমন ২০১৬ সালে চাং সু প্রদেশের লিউ লি ছেং ও তার গবেষণা দল রু তুং উচ্চ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পার্কে আসেন এবং তারা নতুন সনাক্তকরণ প্রযুক্তি এবং নতুন ইন-ভিট্রো ডায়াগনস্টিক রি-এজেন্টগুলোর উত্পাদন ও বিক্রির কাজ করেন। এ যুব গবেষণা দলের গড় বয়স মাত্র ২৮ বছর এবং তাদের ৮০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্থানীয় মানুষ নন। বিদেশ থেকে শ্রেষ্ঠ যুবপ্রতিভা আনতে রু তুং জেলা কর্তৃপক্ষ একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এ পরিকল্পনার আওতায় প্রতি বছর তারা ৫০জন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিভা এবং ৪ হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক নিয়ে আসে জেলায়। পাশাপাশি পেশাদার প্রযুক্তিকর্মীদের নানা ধরনের প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেয়। এখন রু তুং জেলার একটি বন্দর উন্নয়ন এলাকায় বাইরে থেকে আসা মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। রু তুং জেলার মতো অনেক জায়গা শ্রেষ্ঠ ও দক্ষ মানুষ আকর্ষণ করতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ফলে অন্য জায়গা থেকে আসা মানুষ স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে এবং শহরের আধুনিকায়নে সমর্থন যোগাচ্ছে।

স্বাস্থ্য হচ্ছে প্রত্যেক মানুষের উন্নয়নের ভিত্তি এবং সামাজিক উন্নয়নের উৎপাদন-শক্তি। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চীনের গড় আয়ু ৭৮ দশমিক ২ বছর। অনেক জায়গায় ৬০ বছর বয়সী মানুষেরা এখনও কাজ করছেন এবং তারা অভিজ্ঞ কর্মী। গ্রীষ্মকালীন ফসল তোলার সময়ে ৬৯ বছর বয়সী চৌ মিং ইউয়ু প্রতিদিন চাষের জমিতে দেখতে যান। একটি কোম্পানি তাকে চাষের জমির কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এবং তিনি ১৪ হেক্টর জমি দেখাশোনা করেন। স্থানীয় কৃষি ব্যুরোর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চৌ মিং ইউয়ুর মতো এখনও কর্মরত ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা এখানে হাজারের বেশি।

চে চিয়াং প্রদেশের চিয়া সিং শহরের বাসিন্দা আন্টি মেই নাতিকে স্কুলে আনা-নেওয়ার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্রমণ নিয়ে কথা বলেন। প্রবীণরা ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাপন এবং কেনাকাটার নতুন সুযোগ উপভোগ করেন। প্রবীণদের চাহিদা পূরণে অনেক শহরে তাদের জন্য চিকিত্সা ও যত্নের মান অনেক উন্নত হয়েছে এবং তাদের জন্য বিশেষ পর্যটন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রবীণদের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা-প্রশিক্ষণ সংস্থারও আবির্ভাব ঘটেছে। প্রবীণদের জন্য সেবা দেওয়ার শিল্পও নতুন শিল্প হিসেবে শহরের উন্নয়নে চালিকাশক্তি যোগাচ্ছে।

গত ২৮ জুন, বেইজিং পেনশন পরিষেবা ওয়েবসাইট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। এখানে বেইজিংয়ের নিবন্ধিত ৫৭৪টি নার্সিং হোম এবং ১৪৬৯টি নার্সিং স্টেশনের সব তথ্য পাওয়া যায়। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রবীণরা সেবার জন্য বাড়ির কাছে অবস্থিত নার্সিং প্রতিষ্ঠান বাছাই করতে পারেন। ২০২২ সালে বেইজিংয়ের প্রবীণ-সংশ্লিষ্ট শিল্প উন্নয়ন পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বেইজিংয়ের জনসংখ্যার মধ্যে বয়স্ক মানুষের অনুপাত ২১ শতাংশের বেশি।এটা গেল দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বেইজিংয়ের মতো মেগা নগরগুলোতে প্রবীণদের নানা ধরনের চাহিদা পূরণ করা আরও বেশি প্রয়োজন। প্রবীণদের সামাজিক নিশ্চয়তার মান উন্নত করতে সরকার, কোম্পানি ও ব্যক্তি – এই তিন পর্যায়ের পেনশন ও বিমা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন-প্রকাশিত উপাত্তে দেখা যায়, ২০২১ সালে চীনে অক্ষম, আধা-অক্ষম ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত প্রবীণদের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫০ লাখ। তাদের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটাও জরুরি। শাং হাইয়ের বাসিন্দা দাদি সুন বিমার সুবিধাভোগী একজন প্রবীণ। তার স্বামী অস্ত্রোপচারের পর মূলত নিজের যত্ন নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। দাদী সুনের নিজের শারিরিক অবস্থাও ভাল না। বিমার আওতায় তাদের জন্য একজন পরিচর্যাকারী নিয়োগ করা হয়। সপ্তাহে দু বারের মতো চু সু মিন দাদী সুন ও তার স্বামীকে যত্ন নিতে বাসায় আসেন।

২০২১ সাল থেকে শাংহাই চিকিত্সা বিমা ও বেসামরিক বিষয়ক বিভাগ যত্ন বিমার নিষ্পত্তির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি সন্তান জন্ম দেওয়া ও লালন-পালনের ক্ষেত্রেও সমর্থন দেয় সরকার। যেমন যদি কোনও পরিবারে শিশুর সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে তাদেরকে বাড়ি কেনার সুবিধা দেওয়া হয়, বাচ্চা জন্মের খরচ মিটানো হয় চিকিত্সা বিমার অর্থ দিয়ে এবং দু বা তার চেয়ে বেশি বাচ্চা জন্ম দেওয়া পরিবারকে ভতুর্কি দেওয়া হয়।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ চীনে শিশুর যত্ন নেওয়া সংস্থার সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫ হাজারে। পাশাপাশি চীনে গড়ে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চীনা শিক্ষা বিশ্ব মানের। পরিসংখ্যান বলছে, চীনে মোট ২৪০ কোটি মানুষ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে এবং নতুন কর্মীরা গড়ে ১৪ বছরের মতো শিক্ষা গ্রহণ করেছে।

চীনের চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনা এবং ২০৩৫ এজেন্ডায় চীনা মানুষদের গুণমান উন্নয়নকে প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে এবং মানবসম্পদের মান এবং মানব উন্নয়ন ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নবায়ন এবং শিল্পের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছে চীন এবং উচ্চ মানের লোকসংখ্যা চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়ন অর্জনকে সহায়তা করছে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn