চেংতু: চীনের একটি বৃহত্ স্মার্ট নগর
পাশাপাশি, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাও কমিউনিটি পরিচালনায় সাহায্য করতে পারে। যেমন: একদিন দেখা যায়, একাকী বসবাসকারী প্রবীণ লিউ দাদার বাসায় বিদ্যুতের ব্যবহার ২৪ ঘণ্টায় লক্ষণীয় ভাবে কমেছে। এ তথ্য দ্রুত লিউ দাদার কমিউনিটির কর্মীদের কাছে পাঠানো হয়। তারা লিউ দাদার বাসায় দেখতে যান। তারা দেখেন, লিউ দাদা অসুস্থ হয়ে শুয়ে আছেন, তারা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। গত জুলাই মাস থেকে চেংতু শহরের চিন নিউ এলাকায় একাকী বসবাসকারী প্রবীণদের জন্য এমন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। প্রবীণদের অনুমোদন পেয়ে তাদের বাসায় বিদ্যুৎ ব্যবহার পর্যবেক্ষণ এবং স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন করা হয়। তা সব সময় তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে।
এ ক্ষেত্রে আরেকটি উদাহরণ হলো চিন নিউ এলাকার একটি পুরাতন রাস্তা। এর দু’পাশে রয়েছে খাবারের স্ট্রিট এবং ৬০টির বেশি রেস্তোরাঁ। আগে এর বাসিন্দারা রেস্তোরাঁর ধোঁয়া নিয়ে অনেক অভিযোগ করতো। এ সমস্যা সমাধানে কমিউনিটি ৪৯টি রেস্তোরাঁয় তেল ও ধোঁয়া তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা চালু করে। যদি তেল ও ধোঁয়ার পরিমাণ স্ট্যান্ডার্ড ছাড়িয়ে যায়, তাহলে এ ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে সতর্কতা পাঠাবে। স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম পুলিশকে ডাকবে। তত্ত্বাবধান চালু হবার পর বাসিন্দাদের অভিযোগ অনেক কমেছে।
আগে কমিউনিটির কর্মীদের প্রতিদিন নানা ফর্ম পূরণ করতে হতো। এখন স্মার্ট প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে তাদের কাজ অনেক সহজ হয়েছে। তারা একবার ফর্ম পূরণ করলে সব তথ্য সক্রিয়ভাবে নানা ফর্মে চলে যায়। তাতে কর্মীরা আরও বেশি সময় নিয়ে বাসিন্দাদের সেবা প্রদান করতে পারেন।
কমিউনিটি হল তৃণমূল প্রশাসনের মৌলিক ইউনিট। কমিউনিটির কাজ যদি স্মার্ট ও কার্যকর হয়, তাহলে শহরের পরিচালনা আরও সুষ্ঠুভাবে চলবে।