চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে
২০২২ সালে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি ছিল ২০.৬৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। এর মধ্যে সৌর কোষ, লিথিয়াম ব্যাটারি এবং গাড়ি রপ্তানি যথাক্রমে ৬৭.৮ শতাংশ. ৮৬.৭ শতাংশ ও ৮২.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া- তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লাসহ জ্বালানি আমদানির পরিমাণ ছিল ৩.১৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ান; যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪০.৯ শতাংশ বেশি হয়েছে।
২০২২ সালে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য নানা ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে রপ্তানি ও আমদানির পরিমাণ যথাক্রমে ৯ ও ১০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়। তৃতীয় প্রান্তিকে ১১.৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছায়। যা একক প্রান্তিকের নতুন রেকর্ড। অন্যদিকে ২০০৫ সালে চীনের পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ১০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায় এবং ২০১২ ও ২০১৮ সালে ২০ ও ৩০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়ায়।
চীনা বৈদেশিক বাণিজ্যের এমন সফলতা সহজে অর্জিত হয় নি। নানা কষ্ট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চীনের বিদেশি বাণিজ্য সামনে এগিয়েছে এবং দৃঢ় প্রাণশক্তি ও বলিষ্ঠতা দেখিয়েছে।
আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ, গুণগত মান ও মুনাফা স্থানীয় সরকার, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিদেশি বাণিজ্যিক কোম্পানির যৌথ প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করে। অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে সরকার ধারাবাহিক ও টেকসই নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।
পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট নীতির আলোকে বেসরকারি কোম্পানিগুলো প্রধান সত্তা হিসেবে বড় ভূমিকা পালন করেছে। বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বেসরকারি কোম্পানির অনুপাত ৮০.৮ শতাংশ।
গত বছরের ২ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ায় আরসিইপি চুক্তি কার্যকর হয়। চীনের নান নিং শুল্ক বিভাগ কুয়াং সি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত এলাকা প্রথম এতে সই করে। এই চুক্তির মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানিকৃত চীনা মধুর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে শূন্যে নেমে আসে।