চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে
চীনা সাধারণ শুল্ক প্রশাসনের ১৩ জানুয়ারি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে চীনের আমদানি ও রপ্তানির মোট পরিমাণ ৪২.০৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৭.৭ শতাংশ বেশি এবং টানা ৬ বছর ধরে পণ্য বাণিজ্যে বিশ্বের প্রথম স্থান দখল করে আছে চীন।
এর মধ্যে রপ্তানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায় এবং এর মোট পরিমাণ ছিল ২৩.৯৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। পাশাপাশি আমদানির পরিমাণ ছিল ১৮.১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। ২০২১ সালের তুলনায় তা ১০.৫ শতাংশ ও ৪০.৩ শতাংশ বেশি।
চীনা সাধারণ শুল্ক প্রশাসনের মুখপাত্র লুই তা লিয়াং বলেছেন, ২০২২ সালে দেশ ও বিদেশের জটিল পরিস্থিতির মুখে চীনের বিদেশি বাণিজ্য নানা অসুবিধার মধ্যে পড়ে। এরপর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বাস্তবায়ন হয় এবং আমদানি ও রপ্তানি পরিমাণ প্রথমবারের মতো ৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়। এটা চীনের অর্থনীতির সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
দেখা যায়, সাধারণ বাণিজ্য দ্রুত গতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২২ সালে চীনে সাধারণ বাণিজ্যিক আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ২৬.৮১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান হয়। যা ২০২১ সালের তুলনায় ১১.৫ শতাংশ বেশি এবং মোট বাণিজ্যিক পরিমাণে এই অর্থের অনুপাত ৬৩.৭ শতাংশ; এককভাবে সবচেয়ে বেশি।
আসিয়ান জোট চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। দু’পক্ষের আর্থ-বাণিজ্যিক আদান-প্রদান দিন দিন ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দু’পক্ষের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ৬.৫২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান হয়েছে। যা ২০২১ সালের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে চীনের আমদানি ও রপ্তানি ১৯.৪ শতাংশ বেড়েছে। সেই সঙ্গে, আরসিইপি’র আওতায় অন্য দেশের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ৭.৫ শতাংশ বেশি হয়েছে।
গত বছর চীনে মোট ৫ লাখ ৯৮ হাজারটি বেসরকারি কোম্পানি বিদেশি বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করে। আমদানি ও রপ্তানিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫০.৯ শতাংশ হল বেসরকারি খাতের কোম্পানি। এই সংখ্যাও ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অর্ধেকের বেশি হয়েছে।