চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে
গেল এক বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ঐতিহ্যিক বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় বজায় রাখার পাশাপাশি আরসিইপি চুক্তির প্রভাবে আসিয়ান, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় নতুন বাজার খুঁজে পেয়েছে চীন। ২০২২ সালে আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় চীনের রপ্তানি যথাক্রমে ১৪.৮ শতাংশ ও ১৪.১ শতাংশ বেড়েছে।
১০ জানুয়ারি রাত ১১টায় আন্তর্জাতিক ই-কমার্স পণ্যবাহী একটি কার্গো বিমান সিনচিয়াংয়ের উরুমুছি থেকে কাজাখস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সিনচিয়াংয়ে প্রথমবারের মতো চালু হয় আন্তর্জাতিক ই-কমার্স মালবাহী কার্গো বিমানের বিশেষ রুট। এই ফ্লাইটে রয়েছে প্রায় আড়াই কোটি ইউয়ান মূল্যের ১৫ টন পণ্য। জামাকাপড়, জুতো এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মধ্য এশিয়ার বিদেশি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক ই-কমার্স বিদেশি বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে চীনের আন্তর্জাতিক ই-কমার্সের পরিমাণ ২.১১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান হয়, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৯.৮ শতাংশ বেশি।
আন্তর্জাতিক ই-কমার্স, বিদেশি গুদাম, অবাধ বাণিজ্য এলাকা ও বন্দর, আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা, ক্যান্টন ফেয়ারসহ নানা নতুন ব্যবসায়িক মডেল ও প্ল্যাটফর্ম বাণিজ্যের উচ্চ মানের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়েছে এবং চীনকে শক্তিশালী বাণিজ্যের দেশ হিসাবে নির্মাণে নতুন চালিকাশক্তি যুগিয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতি ধীর হবার ঝুঁকি বাড়ছে এবং আন্তর্জাতিক চাহিদা কমে গেছে। যা বিদেশি বাণিজ্যের জন্য বৃহত্তম হুমকি। চীনে মহামারি প্রতিরোধের নিয়ম সমন্বয় ও উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন স্থানে সরকারের উদ্যোগে চীনা কোম্পানি বিদেশ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করছে।
চীনা অর্থনীতির রয়েছে স্থিতিস্থাপকতা, সম্ভাবনা ও চালিকাশক্তি। যা ভবিষ্যতে অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন বছর চীনের বিদেশি বাণিজ্যের উপর দেশ-বিদেশের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।