কেনিয়ার সুখের রাস্তা পাকা করেছে ‘এক অঞ্চল এক পথ’
চীনে প্রশিক্ষণ নেয়ার দিনগুলি স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘চীনের পাও চি শহরে আমি প্রথমবারের মতো ট্রেন চালাতে আরোহণ করি, তখন আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে আমি অনেক অভিজ্ঞতা জমা করেছি। মোম্বাসা-নাইরোবি রেলপথের কাজ থেকে আমি অনেক শিখেছি। আমি একজন সহকারী চালক প্রার্থী থেকে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চালক পর্যন্ত উন্নীত করেছি। বর্তমানে আমি যন্ত্রপাতি অপারেশন কর্মশালার উপ-পরিচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ কাজে দায়িত্ব পালন করি। স্থানীয় কর্মীদের ট্রেন চালানোর প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দেয়ার দায়িত্ব পালন করি’।
কনসিলিয়া বলেন, আফ্রিস্টার রেলওয়ে অপারেটিং কোম্পানি কেনিয়ায় ৫ বছর ধরে ব্যবস্থাপনা করছে। ম্যাক্রো স্তরে কেনিয়ার অর্থনীতি ত্বরান্বিত করেছে। মোম্বাসা-নাইরোবি রেলপথ কেনিয়ার পর্যটন শিল্প এবং রপ্তানি মালামাল উন্নীত করেছে। বলা যায়, কেনিয়ার অর্থনীতি আরও ভালো হয়েছে। বিরাট প্রকল্পটি হচ্ছে কেনিয়া স্বাধীন হবার পর বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প, এবং দেশটির বৃহত্তম উন্নয়ন সাফল্য।
মোম্বাসা-নাইরোবি রেলপথ হচ্ছে চীনের “এক অঞ্চল এক পথ” উদ্যোগ কেনিয়ার “২০৩০ দৃষ্টি” সার্বিকভাবে সংযুক্ত ও জৈব একীকরণের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। পাশাপাশি, চীন চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের কাঠামোয় “দশটি কার্যক্রম” কার্যকর করা, সার্বিকভাবে আফ্রিকার দেশগুলোর “২০৬৩ আলোচ্য সূচী” বাস্তবায়নে সমর্থন দেয়ার প্রতিনিধিত্বমূলক ফলাফল। রেলপথটির চালু কেনিয়া এবং আঞ্চলিক দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, আফ্রিকার শিল্পায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ রেলপথটি প্রায় ৬৮ লাখ যাত্রী এবং ১৫.৭ লাখ টিইইউ পরিবহন করেছে।
চীন ও আফ্রিকা উচ্চমানের “এক অঞ্চল এক পথ” নির্মাণের অব্যাহত গভীর করার সঙ্গে সঙ্গে আফ্রিকার জন্য চীনের নির্মিত রেলপথ ও রাজপথসহ বেশ কিছু প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে কার্যকর হয়ে আফ্রিকার অর্থনৈতিক সমাজের উন্নয়নের জন্য স্পষ্ট পরিবর্তন ডেকে আনে। চলতি বছরের ১৪ মে চালু হবার পর নাইরোবি এক্সপ্রেসয়ে আবার পূর্ব আফ্রিকার জনগণের উত্সাহব্যঞ্জক নজির সৃষ্টি করে।