বাংলা

কেনিয়ার সুখের রাস্তা পাকা করেছে ‘এক অঞ্চল এক পথ’

CMGPublished: 2022-08-01 14:01:51
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নাইরোবি এক্সপ্রেসয়ে পূর্ব আফ্রিকার প্রথম টোল হাইওয়ে। চীনা কোম্পানি নির্মিত টোল হাইওয়ে’র দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নাইরোবি সিবিডি ও কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনসহ বিভিন্ন অঞ্চল সংযুক্ত করা হাইওয়ে’টি চালু হবার পর বিস্তৃতভাবে কেন্দ্রীয় শহরের যানজট প্রশমন করে, শহুরে অপারেশন দক্ষতা উন্নত করবে।

২৪ বছর বয়সী ব্রায়ান ভিনেলি হচ্ছেন নাইরোবি এক্সপ্রেসয়ে’র প্রথম দফা টোল আদায়কারী। তিনি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রাম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চাকরি শুরু করার আগে তিনি মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি বলেন, এক্সপ্রেসয়ে’র চাকরি তাঁর জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করে।

নাইরোবি এক্সপ্রেসয়ে পাশাপাশি স্থানীয় কর্মসংস্থান ত্বরান্বিতকরণ জীবিকা প্রকল্প। জানা গেছে, নির্মাণ কাজ চলাকালে এক্সপ্রেসয়ে ৩ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। ২শ’ উপ-ঠিকাদার এবং কয়েকশ’ স্থানীয় বিল্ডিং উপাদান সরবরাহকারী লাভ করে। চালু হবার সময় আরও ৫শ’টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। নিজে এবং নিজের জন্মস্থানের ভবিষ্যতের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস করেন ব্রায়ান।

ব্রায়ান বলেন, ‘অনেক কেনিয়ান কর্মসংস্থান পায়। এটা আমার জন্য খুব গর্বের ও খুশীর কারণ। এটা নতুন সুযোগ, আমরা নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারি এবং আমাদের দেশ উন্নয়ন করতে পারব। হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের দেশে আরও বেশি টোল রোড হবে। আমরা চীন-কেনিয়া অংশীদারিত্বের সম্পর্কের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এটা সত্যিই আমাদের দেশের জন্য উন্নয়ন ডেকে আনছে’।

মোম্বাসা-নাইরোবি রেলপথ থেকে নাইরোবি এক্সপ্রেসয়ে পর্যন্ত পথ শহরগুলোকে সংযুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক ধমনী উন্মুক্ত করে। এক একটি ট্রেন শুধু যাত্রী ও মালামাল বহন করে, এক একটি প্রশস্ত পথ শুধু গাড়ি বহন করে, সেটা নয়, বরং কেনিয়ান সামাজিক উন্নয়ন এবং সুন্দর জীবনের প্রতি আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং চীন-কেনিয়া দু’দেশের মধ্যে সুদীর্ঘকালের গভীর মৈত্রী। এটা চীন-আফ্রিকা যৌথভাবে উচ্চমানের “এক অঞ্চল এক পথ” নির্মাণের দৃঢ়প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন। নতুন যুগে চীন-আফ্রিকা অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির নির্মাণ নিঃসন্দেহে আরও উচ্চমানে উন্নয়ন ও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলা আশা করা হচ্ছে।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn