বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই ৭৪

CMGPublished: 2024-06-13 16:21:24
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

কোরবানির পশুর মাংস দিয়ে তৈরি হয় বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাদ্য। লম্বা শিকে গাঁথা কাবাব, ভেড়ার রোস্ট, মাংসের পুর দেয়া পিঠা, নানরুটি ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী খাদ্য তৈরি এবং বিশেষ সাজসজ্জার মাধ্যমে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চীনের মুসলিম নারীরা।

প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: শান্তা মারিয়া

প্রযুক্তিতে নারী

যুগ যুগ ধরে চলে আসা এক ভ্রান্ত ধারণা - ছেলেরা যা করতে পারে, মেয়েরা তা পারে না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, অনেক নারী এই ধারণাকে ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি প্রমাণ করেছেন তারা যেকোনো ক্ষেত্রে সমানভাবে সফল হতে পারেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রামের তেমনই একজন নারী তৃষ্ণা দিও। সমাজ পরিবারের সকল বাধা পেরিয়ে হয়েছেন সফল, এগিয়ে নিচ্ছেন তার মতো নারীদের। বিস্তারিত প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রাম কাকরকান্দি। এই গ্রামের আলো-বাতাসে বড় হয়েছেন গারো সম্প্রদায়ের তৃষ্ণা দিও। পেশায় একজন ফ্রিল্যান্সার; তবে শহরে থেকে নয়, কাজটি তিনি করছেন গ্রামীণ নিভৃত পরিবেশে। এর মাধ্যমে কেবল নিজেই স্বাবলম্বী হয়েছেন এমন নয়, তিনি অসংখ্য গ্রামীণ নারীরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন, অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তুলেছেন সকলের মনে।

কিন্তু বাংলাদেশের একটি গ্রামে থেকেই কীভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে আয় করছেন তৃষ্ণা? গল্পটা জানতে একটু পেছনে ফেরা যাক। ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর (এমবিএ) সম্পন্ন করে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগে চাকরি নেন তিনি। কাজের ধরনের সঙ্গে সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি বলে করোনার সময় চাকরি ছেড়ে চলে যান নিজ গ্রামে। গ্রামে বসেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করে যান, কিন্তু সেভাবে সাড়া মেলেনি। নতুন চাকরির জন্য গ্রামে থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আবেদন পাঠাতে থাকেন।

এ সময় তার এক বন্ধুর কাছে জানতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। তাই দেরি না করে তিনি ময়মনসিংহের একটি আইটি ইন্সটিটিউটে গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্সে ভর্তি হন। তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি বাজার থেকে হালুয়াঘাট উপজেলা হয়ে ময়মনসিংহে যেতেন ক্লাস করতে। এভাবে তিনি কোর্সটি সম্পন্ন করেন।

প্রতি শুক্র ও শনিবার নিজের গ্রাম থেকে ময়মনসিংহে যেতেন ক্লাস করতে। সন্ধ্যা ৬টার ক্লাস শেষে বাসায় ফিরতে রাত ১০টা বাজত। বাসায় এসেই যা শিখেছেন চর্চা করতেন। মাঝেমধ্যে টেরও পেতেন না সকাল কখন হয়েছে। এমনও হয়েছে, তিন রাত টানা ঘুমাননি। এতটাই নিমগ্ন থাকতেন কাজ শেখার প্রতি। প্রায় ৬ মাস পর প্রথম যেদিন বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৬ ডলারের কাজের প্রস্তাব পান, তখন তার আগ্রহ আরও প্রবল হয়। অজান্তেই বলে ফেলেন ‘সম্ভব’।

শুরুতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পেতে বা করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। দেশের এক গ্রাহক তাকে দিয়ে একটি কাজের নকশা ১৭ বার পরিবর্তন করিয়েছিলেন। পরে কাজটি তার পছন্দ হয়। আর এভাবেই ধীরে ধীরে দেশি বিদেশি বড় বড় কাজের অর্ডার পেতে থাকেন। ফলে তার আয়ও বাড়ে।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn