আকাশ ছুঁতে চাই ৫৮
পরবর্তি বছরগুলোতে আরও গ্রামবাসী হানফু ব্যবসায় যোগ দেন। উৎপাদন অথবা অনলাইনে বিক্রির কাজে যোগ দেন তারা। বর্তমানে সারাদেশে হানফু বিক্রির ৪০ শতাংশই উৎপাদিত হয় ছাওসিয়ানে। ২০২৩ সালে এই কাউন্টির হানফু বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৯৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
ওয়াং রানের জন্ম ২০০০ সালের পরে। তিনি গত কয়েক বছরে ছাওসিয়ানে উৎপাদন চেইনের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ দেখেছেন। গ্র্যাজুয়েশনের পর তিনি হোমটাউনে ফিরে এসে হানফু ডিজাইনের কাজ শুরু করেন।
ওয়াং রান বলেন , ‘এখন উন্নতির এই পর্যায়ে ছাও কাউন্টির কর্মীরা চেষ্টা করছেন ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়ার এবং আরও বেশি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উপাদানকে সংযুক্ত করার। আমি আমার হোমটাউনের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই। বিশেষ করে মামিয়ানছুনের নকশা উন্নয়নে কাজ করছি।’
ঐতিহ্যকে ব্যবহার করে নিজের এলাকার উন্নয়নে যেমন তিনি অবদান রাখছেন তেমনি নিজের ক্যারিয়ারেও উন্নতি করছেন।
প্রতিবেদন ও কণ্ঠ : শান্তা মারিয়া
একজন উদ্যোক্তা ফুলের মতো বিকশিত হন
চীনে অনেক নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা নিজের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে বিকশিত করছেন। এমনি একজন নারী উদ্যোক্তা হলেন ছিয়ান চিং। তিনি লুসি কিউ জুয়েলারি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। শুনবো তার গল্প।
চীনের নারী উদ্যোক্তা ছিয়ান চিং কখনও ভাবেননি তিনি অলংকারের ডিজাইনার হবেন এবং অলংকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক হবেন। এই কাহিনী যেমন বিস্ময়কর তেমনি অনুপ্রেরণা মূলক।
১৯৯০ এর দশকে চীনের রেনমিন ইউনিভারসিটি থেকে ইংরেজি ভাষা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেন ছিয়ান। এরপর বিভিন্ন বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। বেশ উন্নতিও করেন। সেসময় চীনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী সারাহ রান্ডের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার। তিনি দেখেন যে সারাহ বেশ চমৎকার চীনা ঐতিহ্যবাহী অলংকার পরেন। বিশেষ করে তার মুক্তার অলংকারগুলো খুবই সুন্দর। তিনি জানতে পারেন সারাহ চীনা ডিজাইনের অলংকার পছন্দ করেন। তার মুক্তাগুলোও চীনের।
ছিয়ান চিং জানতে পারেন যে চীনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মিঠাপানির মুক্তা উৎপন্ন হয়। তিনি আরও জানেন যে চীনের মুক্তা সৌন্দর্য ও আকারে অনন্য।