আকাশ ছুঁতে চাই ৫৮
তবুও, তিনি তার শৈশবের স্বপ্ন ভুলে যাননি। স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র থেকে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন। সকল বাধা অতিক্রম করে মাত্র ২৪ বছর বয়সে কয়েক ধাপ পরীক্ষার পর তিনি ছংছিং ভিত্তিক একটি এয়ারলাইন ‘ওয়েস্ট এয়ারে’ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে যোগ দেন।
চাকরীর শুরুর দিকে তাকে পড়তে হয়েছিল নানামুখী চ্যালেঞ্জে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এতো উচ্চতায় কর্ম ক্ষেত্র হওয়ায় মানিয়ে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন মনে হয়েছিল। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকাটাও ছিল বেশ কষ্টের। সঙ্গে ছিল ‘ওড়ার ভয়’।
বর্তমানে প্যান হংলিন পা রেখেছেন ৩০ এর কোঠায়। চলতি বছর বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে চীনে বেড়েছে ফ্লাইট সংখ্যা। সঙ্গে বেড়েছে হংলিনের ব্যস্ততাও।
পাশাপাশি তিনি কেবিন ক্রু প্রধান এবং ওয়েস্ট এয়ারের কেবিন বিভাগে চিকিৎসা প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন।
প্যান জানান, পেশাদার ভূমিকা যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, জনসাধারণের সেবা করার বিষয়ে তার মানসিকতার কোনও পরিবর্তন হবে না। যতদিন সম্ভব হবে যাত্রীদের আরও ভাল পরিষেবা দিতে প্রস্তুত তিনি।
হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতার কারণে তিনি জরুরী পরিস্থিতিতে উড়োজাহাজের যাত্রীদেরও সাহায্য করে থাকেন। প্যানের সহকর্মীরা বলছেন যে তার সঙ্গে উড়োজাহাজে ভ্রমণ করা নিরাপদ ও আস্থার।
প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: শুভ আনোয়ার
সম্পাদনা: শান্তা মারিয়া
হানফু ভাগ্য বদলে দিলো পুরো গ্রামের
চীনে এখন চলছে ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ট্রেন্ড। লোকজ ঐতিহ্যের প্রতি বাড়ছে আগ্রহ। এই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে অনেক নারী নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। এমনি একজন নারী ওয়াং রান। তিনি হানফু ডিজাইনার। শুনবো তার গল্প।
ওয়াং রান একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। বিশেষ করে হানফু এবং ঐতিহ্যবাহী মামিয়ানছুন বা ঘোড়ার মুখের মতো স্কার্ট তৈরিতে তিনি দক্ষ। ওয়াং রানের জন্ম শানতোং প্রদেশে। চীনের শানতোং প্রদেশের ছাওসিয়ান কাউন্টি আগে ছিল দারিদ্র্যপীড়িত। কিন্তু এখন এটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় পারফর্মিং কস্টিউম উৎপাদনকারী কাউন্টি। অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে চলছে এখানকার হানফু শিল্প।
এই কাউন্টির জনসংখ্যা ১.৩ মিলিয়ন। এটি শানতোং এর সবচেয়ে জনবহুল কাউন্টি। এখান থেকে অনেক শ্রমিক কাজের সন্ধানে চীনের বড় শহরগুলোতে চলে গেছেন। ১৫ বছর আগে কয়েকজন গ্রামবাসী চিন্তা করেন যে হানফু তৈরি করবেন। ফটো স্টুডিও এবং মঞ্চে পরিবেশনার জন্য এ ধরনের কস্টিউম হানফু তৈরির উদ্যোগ নেন তারা। চীনের ই-কমার্স ব্যবসা প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থার পরিবর্তন হয়। ২০০৯ সালে এই হানফু প্রস্তুতকারকরা অনলাইন দোকান খোলেন এবং দেখেন যে তাদের পোশাক বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।