আকাশ ছুঁতে চাই ৫৫
'কড়াই কিচেন' একটি বাংলাদেশি বাড়িতে খাওয়ার মতো চমৎকার অভিজ্ঞতা দেয়। রেস্টুরেন্টটিতে শেফ রহমানের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত ভর্তা এবং হালকা তরকারিসহ খাবারের একটি ঘূর্ণায়মান বুফে রয়েছে। ভালোবাসা ও যত্নের সঙ্গে তৈরি ঘরোয়া স্টাইলের বাংলাদেশি খাবারের রেস্তোরাঁ।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, জেমস বিয়ার্ড অ্যাওয়ার্ডস রান্নাবিষয়ক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে। অসাধারণ শেফ বিভাগ, বিশেষত, যারা কেবল রান্নার উচ্চ মান বজায় রাখেন না বরং তাদের সমবয়সীদের ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেন এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেন তাদের সম্মান জানায় এ প্রতিষ্ঠান। শেফ গুলশান রহমানকে তার নিষ্ঠা ও দক্ষতার কারণেই সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তার হাত ধরেই আমেরিকান রান্নাবিষয়ক শিল্পে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ স্বাদ এসেছে।
প্রতিবেদন: আফরিন মিম
সম্পাদনা: শান্তা মারিয়া
কণ্ঠ: হোসনে মোবারক সৌরভ
আলোকচিত্রে প্রান্তিক নারীর জীবন
শহরকেন্দ্রিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা গল্প উঠে এসেছে ছবির মাধ্যমে। অভিনব এবং অংশগ্রহণমূলক ফটোভয়েস পদ্ধতি ব্যবহার করে সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে ২৬টি ছবিতে তুলে ধরা হয় সেই গল্প।
'সাইলেন্ট ফ্রেমস, লাউড ভয়েসেস: এক্সপ্লোরিং এসআরএইচআর থ্রু কমিউনিটি লেন্স’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে আইপাস বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংস্থা।
প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত ছবির গল্পগুলোতে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, মাসিক নিয়মিতকরণ, গর্ভপাত পরবর্তী সেবা, প্রজননে জবরদস্তি, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা এবং নারী ও কিশোরীদের অধিকার ভঙ্গসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে আরও বৃহত্তর পর্যায়ের আলোচনা এবং কমিউনিটির ঐক্যবদ্ধতা ও সচেতনতা সৃষ্টি করাই ছিল এই ফটোভয়েস প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য।
এই প্রদর্শনীতে ২৫ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীর সংগৃহীত ২৬টি ছবির গল্পের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার নিম্ন আর্থ-সামাজিক এলাকায় বসবাসকারী নারী ও কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক সামগ্রিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের স্বতস্ফূর্ত সম্পৃক্ততা এবং আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে।
প্রদেশর্নীতে প্রথমবারের মতো নিজের সংগৃহীত ছবির গল্প তুলে ধরতে পেরে খুশি স্বেচ্ছাসেবী তরুণী সাবিকুন নাহার রুমকি।
ক্যাপশন: স্বেচ্ছাসেবী তরুণী সাবিকুন নাহার রুমকি।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই আছে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে। বলবো কী বলবো না,এগুলো সম্পূর্ণ লজ্জার। আমাদের সমাজে এখনো সবাই এসব বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে চায় না। নিজের এই বিষয়গুলো আড়াল করতে চায়। তাই এই বিষয় নিয়ে কাজ করাটা অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে এই কাজ করে আমার ভালো লেগেছে”।
ক্যাপশন: স্বেচ্ছাসেবী হালিমাতুস সাদিয়া