আকাশ ছুঁতে চাই ৩৩
দিয়া বলেন, ‘আমি যখন সিনচিয়াংয়ে এলাম, হঠাৎ করেই এই সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটে। দেখলাম আমার সংস্কৃতির সঙ্গে খুব মিল। এভাবে আমি আমার ভালোবাসা এখানকার মানুষকে দিতে পেরেছি।’
পূর্ব আফ্রিকার তানজানিয়া থেকে চীনের সিনচিয়াংয়ে এসে কাশগরে কফিশপ খোলাটা দিয়ার জন্য খুব সহজ হয়নি। তবে দশবছর আগে শুরু হওয়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় এখন অনেক বিদেশি চীনে আসছেন। তারা এখানেই গড়ে নিচ্ছেন নিজের জীবন।
কাশগরের রয়েছে দুই হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। প্রাচীন সিল্ক রোডের সঙ্গে এর নিবিড় যোগাযোগ। এখানে দিয়া বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তার বিশেষ কফির কারণে। তিনি একজন অনলাইন সেলিব্রেটি।
দিয়া জানান, ‘‘ এই কফি স্থানীয় দুধে তৈরি। সেজন্য এটা এত স্পেশাল।’
তানজানিয়া কফির জন্য বিখ্যাত এবং চীন চায়ের জন্য। দিয়া তার এবং স্বামীর ভালোবাসা একত্রে মিলাতে পেরেছেন।
কাশগরের একটি বিখ্যাত বাজার এলাকা খান বাজার। দিয়ার ক্যাফে থেকে এই বাজার খুব দূরে নয়। এই বাজার রাতে খোলে। এখানে নানা রকম মজাদার খাবার পাওয়া যায়। যদিও সিনচিয়াং থেকে তানজানিয়া অনেক দূরে অবস্থিত তবু এখানকার খাবার ও সংস্কৃতির সঙ্গে তানজানিয়ার খাবার সংস্কৃতির বেশ মিল রয়েছে। যেমন স্থানীয় একটি মুখোরোচক খাবার। চীনা ভাষায় ‘খাও পাওচি’ যেটাকে তানজানিয়ায় বলে