আকাশ ছুঁতে চাই ২৮
চেন ইতিহাসের ভক্ত। তিনি প্রাচীন চীনের ঐতিহ্য ও চিরায়ত চীনা সাহিত্যকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করতে চান। তিনি একজন হানফু ভক্ত। চেনের জন্ম চিয়ানসু প্রদেশের চুরোং শহরে। ছোটবেলায় অ্যানিমেটেড মুভি সিরিজ ছিনশি মিংইয়ুয়ে বা দ্য লিজেন্ড অব ছিন দেখে চীনা ইতিহাসের প্রেমে পড়েন তিনি। তার ইচ্ছা হয় এমন কোন শিল্পকর্ম তৈরি করবেন যা ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত।
২০১৮ সালে চেন হাংচৌতে আসেন এবং চায়না একাডেমি অব আর্টস বিষয়ে লেখাপড়া করেন। সাংস্কৃতিক নিদর্শন সংরক্ষণ ও পুনর্গঠন বিষয়ে পড়েন তিনি।
আন্ডার গ্র্যাজুয়েট স্টাডির সময়ে তিনি পোর্সেলিনের শিল্প মেরামত করতে শেখেন এবং বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে জানেন।
হাংচৌতে তিনি লক্ষ্য করেন অনেক নারী হানফু পরেন। এটা তহার খুব ভালো লাগে। হানফু শুধু একটি সুন্দর পোশাক নয় বরং এর সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে।
গ্র্যাজুয়েশনের সময়ে তার বিশেষ প্রজেক্ট ছিল সং রাজবংশের সময় নারীদের পরিধেয় হানফুর বিবর্তন বিষয়ে ভিডিও । এটা করতে গিয়ে তার ছয়মাস সময় লাগে এবং এক লাখ ইউয়ানের মতো ব্যয় হয়।
চেন বলেন, আমার কাছে মনে হয় সং রাজবংশের সময়ে যে হানফু পরা হতো সেটি বর্তমান কারের জন্যও বেশ উপযোগী।
গ্র্যাজুয়েশনের পর তিনি ফুলটাইম ভ্লগার হন। পার্টটাইম চাকরি হলো হানফু মডেল ও শিল্প নির্দেশক হিসেবে।
বর্তমান প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সচেতন করতে হানফু পরে হাংচৌর ঐতিহাসিক স্থানে ঘুরে বেড়ানোর চিন্তা করেন চেন। এই কাজে তিনি সঙ্গে নেন তার বন্ধু সাই চিয়ালে এবং আরও কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে।
বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করলেন ফারজানা
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের দারুণ সাফল্য এখন মানুষের মুখে মুখে। ২২ জুলাই ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের হয়ে সেঞ্চুরি করে নারী দলের প্রথম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন কৃতী নারী ফারজানা হক।
এরআগে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৪১ বলে ১৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন শারমিন আক্তার। তবে প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র হওয়ায় সেটি লিস্ট ‘এ’র সেঞ্চুরি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। ঢাকার মিরপুরে ফারজানার সেঞ্চুরির দিনে ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।৩০ বছর বয়সী ফারজানা প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির আগে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস খেলার কীর্তিও গড়েন।
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া
সম্পাদনা: রহমান
সুপ্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা।
অনুষ্ঠানটি কেমন লাগছে সে বিষয়ে জানাতে পারেন আমাদের কাছে। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত সাদরে গৃহীত হবে। আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আবার কথা হবে আগামি সপ্তাহে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া,
অডিও এডিটিং: রফিক বিপুল