আকাশ ছুঁতে চাই ২৮
বাহতের কিশোরী মেয়ে কুরসুনাক। তার শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে কয়েক বছর ধরেই পশুপাল নিয়ে গ্রীষ্মে চারণভূমিতে যাচ্ছেন না বাহত। বরং হোমটাউনে নিজের স্থায়ী বাড়িতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকেন তিনি। বর্তমানে বাহত একটি দোকান চালান এবং সন্তানদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে বাহতের স্বামী হাবুডেলাশান নুসুপবেক পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে ছাগলের পাল নিয়ে দু মাসের জন্য চলে যান চারণভূমিতে। তাদের ৪০০টি ছাগল রয়েছে। অবশ্য নুসুপবেক চলে যাওয়ার সময় তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু গুছিয়ে দেন বাহত ও তার মেয়ে কুরসুনাক।
তবে পুরুষসদস্যরা চারণভূমিতে চলে গেলে যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় তা নিশ্চয়ই নয়।
এখন আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। নিয়মিত ফোনে কথা বলেন নুসুপবেকের সঙ্গে। ছুটিছাটায় পুরো পরিবার চলে যান চারণভূমিতে।
তবে স্থায়ী বাসস্থান থাকায় এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে বাহতের জীবনে। উন্নত হয়েছে জীবনমান। এমন অনেক যাযাবর নারীর জীবনেই এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তনের ছোঁয়া, জ্বলেছে সমৃদ্ধির আশার আলো।
সং যুগের কন্যা
ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দিচ্ছেন এক নারী । নাম তার চেন সিইয়ুয়ে। তিনি একজন ভ্লগার।
চীনের একটি ঝকঝকে আধুনিক শহর হাংচৌ । এই শহরের একটি ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান ওয়েস্ট লেক। এই ওয়েস্ট লেকের তীরে হাঁটা পথ ধরে এগিয়ে যেতে দেখা যায় এক তরুণীকে। পরনে তার সং রাজবংশের (৯৬০-১২৭৯ সাল) যুগের পোশাক ঐতিহ্যবাহী হানফু। পিঠে একটি ফুলের ঝুড়ি। হাতে সৌখিন চীনা পাখা। কখনও হাতে থাকে কারুকাজ করা বাঁশের ছাতা। পথিকদের হাতে সে কখনও তুলে দেয় পদ্মফুলের কলি। কখনও শিশুদের শোনায় প্রাচীনযুগের চীনা কবিতা।
তার কাছাকাছি চোখে পড়ে এক তরুণকে। তার পরনে থাং রাজবংশের( ৬১৮-৯০৭ খ্রিস্টাব্দ) সময়কার পোশাক। তার কাঁধে রয়েছে পদ্মফুলে বোঝাই ঝুড়ি। সে যেন প্রাচীন চীনের এক ফুল বিক্রেতা।
পথচলতি অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে কারা এরা? তাদের সঙ্গে ছবি তুলতেও আগ্রহের কমতি নেই কারও। সং যুগের কন্যার গেটআপে যাকে দেখা যায় তিনি হলেন ২২ বছর বয়সী চেন সিইয়ুয়ে। পুরো পরিকল্পনাটা তারই। তিনি একজন ভ্লগার। সিনা ওয়েইবোতে তার অ্যাকাউন্ট থেকে বিনীতিভাবে তিনি ব্যাখ্যা করেন তার এমন সাজপোশাকের উদ্দেশ্য।