আকাশ ছুঁতে চাই ২৮
ইয়ুননানের মেয়ে ই তার কর্তব্য পালন করেন হাসিমুখে। আর কাজের ফাঁকে মনে মনে ভাবেন এই ট্রেন তার এলাকার উন্নয়নে বিপুল ভূমিকা রাখছে।
বদলে গেছে যাযাবর নারী বাহতের জীবন
চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে রয়েছে অনেক জাতিগোষ্ঠী। কাজাখ জাতিগোষ্ঠীর একজন নারী বাহত তুরলকসির জীবনে ভিাবে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে স্থানীয় সরকারের পদক্ষেপের মাধ্যমে এখন শুনবো সেই গল্প।
বাহত তুরলকসি । বয়স ৫৩ বছর। তিনি বাস করেন উত্তর পশ্চিম চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ের ইয়ুমিন কাউন্টিতে।
তিনি কাজাখ জাতিগোষ্ঠীর নারী। তিনি পশুপালক পরিবারের মেয়ে। কঠোর শ্রমসাধ্য জীবন ছিল শৈশবে।
বিশেষ করে প্রতি গ্রীষ্মে তারা চলে যেতেন চারণভূমিতে। এই স্থানান্তরের সময় প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। স্থায়ী গৃহের স্বস্তি একেবারেই ছিল না।
বাহত শব্দের অর্থ সুখ। বাবা মা তার নাম বাহত রেখেছিলেন কারণ তাদের আশা ছিল ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবন অনেক সহজ ও সুখের হবে। সেই স্বপ্ন বর্তমানে কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে। যাযাবরের জীবনে কিছুটা হলেও এসেছে স্থায়ী গৃহের শান্তি।
কাজাখ যাযাবর পশপুপালক সমাজের রীতি হলো শীতকালে তারা গ্রামে পশুপাল নিয়ে বাস করে। পশুদের খোঁয়াড়ে রাখা হয়। নিজেরা থাকেন শক্ত ছাউনির বাড়িতে। গ্রীষ্মে তারা পশুপাল নিয়ে চলে যান পাহাড়ী চারণ ভূমিতে। সেখানে তাঁবুতে বাস করতে হয় শীত আসার আগ পর্যন্ত। শিশুদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক জীবন সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সরকার যাযাবরদের জন্য স্থায়ী বসতি গড়ে তোলার বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছে। এতে বাহতের জীবনেও এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। আগে বাহত তার স্বামী সন্তান নিয়ে চলে যেতেন চারণ ভূমিতে। তাদের স্থায়ী গৃহ ছিল না। সন্তানদের শিক্ষাজীবনও এতে বেশ ব্যহত হতো।