আকাশ ছুঁতে চাই ১৫
দলের প্রত্যেক সদস্য একটি করে এলাকার দায়িত্ব পান। প্রত্যেকটি গ্রামের গ্রামবাসীরা যেন চলচ্চিত্র দেখতে পারেন এবং জাতীয় সংস্কৃতির সাম্প্রতিক ধারার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন সে লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। ৪৫ হাজার গ্রামবাসী এই উদ্যোগের উপকারভোগী হন।
এই দলের সদস্য ৪৬ বছর বয়সী সিয়ং ইয়ান বলেন,‘ আমি আমি অনেক স্থানে ভ্রমণ করেছি, অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। এই ধরনের অনুভূতি শহরে কখনও হয়নি। আমি নিজের কাজ নিয়ে গৌরব বোধ করি। কারণ আমি গ্রামের মানুষের মধ্যে বিনোদনের ছোঁয়া দিতে পেরেছি, তাদের অবসর সময়কে আনন্দে ভরিয়ে দিয়েছি।’
সিয়ং ইয়ান আগে শহরের একটি সিনেমা হলের প্রজেকশনিস্ট ছিলেন। তিনি তার আগের এবং বর্তমান কাজের মধ্যে তুলনা করে দেখতে পান যে এখনকার কাজে আনন্দ অনেক বেশি। তিনি গ্রামের মানুষদের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখেন। তাদের আনন্দ বেদনা অনুভব করেন। তারা যখন খুশি হয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান তখন তার মন আনন্দে ভরে ওঠে।
তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার সঙ্গীরা শহরে বড় হয়েছি। গ্রামের পরিবেশ বিষয়ে তেমন কোন ধারণা ছিল না। যন্ত্রপাতির ওজন প্রায় ৫০ কিলোগ্রাম। এটা ওঠানামা করতেও অনেক দৈহিক শক্তি লাগে। এগুলো নিজেদের যানবাহনে করে গ্রামে নিয়ে যেতে হয়। তবে এখন আমি গ্রামের প্রকৃতিকে ভালোবাসি। আলাদা আলাদা ফসল চিনি। গ্রামের মানুষ আমাকে অনেক সহায়তা করেন। প্রজেকশন যন্ত্রপাতি ওঠানো নামানোর কাজে তারা আমাকে সহায়তা করেন।’
এই নারীদলের কাজ চলে বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। বাকি সময়টা বেশি শীতের কারণে উন্মুক্ত প্রদর্শনী সম্ভব হয় না। বিরুপ প্রকৃতি ও রাস্তাঘাটের বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে সাহসের সঙ্গে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘোরেন এই নারীরা। তবে আগের চেয়ে এখন রাস্তাঘাট অনেক উন্নত হয়েছে।