আকাশ ছুঁতে চাই ১২
১. চীন ও রুশ সংস্কৃতির মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলছেন ইরিনা প্রাতসুয়ুক
২. তং মিংচু: তৃণমূল থেকে শীর্ষ স্থানে পৌঁছানো নারী
৩. যুদ্ধবিমান চালাচ্ছেন নারী পাইলটরা
নারী ও শিশু বিষয়ক অনুষ্ঠান আকাশ ছুঁতে চাই থেকে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আমাদের অনুষ্ঠানে আমরা কথা বলি নারীর অগ্রযাত্রা, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সাফল্য, সংকট সম্ভাবনা নিয়ে। আমরা কথা বলি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের অধিকার নিয়ে।
চীন ও রুশ সংস্কৃতির মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলছেন ইরিনা প্রাতসুয়ুক
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনেক বছর ধরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করছেন রুশ নারী ইরিনা প্রাতসুয়ুক। চীন ও রাশিয়ার সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ঐতিহ্যে বেইজিং এক্সিবিশন সেন্টারে মস্কো রেস্টুরেন্টের রয়েছে নিজস্ব ভূমিকা। এখানে চীনা গ্রাহকদের কাছে রুশ সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন রাশিয়ান নারী ইরিনা প্রাতসুয়ুক। চীনে জীবন গড়ে নেয়ার পাশাপাশি কিভাবে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধুত্ব স্থাপনে ভূমিকা রাখছেন একটি প্রতিবেদনে শুনবেন সেই গল্প।
চীনের বেইজিং এক্সিবিশন সেন্টারে অবস্থিত মস্কো রেস্টুরেন্ট। ৭০ বছর ধরে চীনের রাজধানীতে খাঁটি রুশ খাবার পরিবেশন করছে। এখানেই ২০০৯ সাল থেকে রুশ সংস্কৃতিকে চীনের মানুষের সামনে তুলে ধরছেন ইরিনা প্রাতসুয়ুক। তিনি একজন রুশ পারফরমার ও সংগীত শিল্পী।
ইরিনা প্রাতসুয়ুক বলেন, `আমার পরিবেশনা দেখার আগে অনেকেই রুশ শিল্প ও সংগীত বিষয়ে জানতেন না। তাদের প্রশংসা শুনে আমার কাছে খুব ভালো লাগে যে, তাদের সামনে রাশিয়ার প্রথম পরিচয় আমি দিচ্ছি।‘
চীন ও রাশিয়ার সাংস্কৃতিক বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দুইদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ঐতিহ্যে বেইজিং এক্সিবিশন সেন্টার এবং মস্কো রেস্টুরেন্টের রয়েছে নিজস্ব ভূমিকা। এখানে চীনা গ্রাহকদের কাছে রুশ সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন রাশিয়ান নারী ইরিনা প্রাতসুয়ুক।
চীনে নিজের জীবন গড়ে নিয়েছেন ইরিনা। তার পুত্রবধূও চায়নিজ। তিনি নিজেও চীনা সংস্কৃতিকে ভালোবাসেন। তিনি বলেন, `আমি অনলাইন শপিং এবং চীনে ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। দুটোই এখানে সুবিধাজনক। অনেক চীনা মানুষ বিদেশি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চায়। আমার অনেক চায়নিজ বন্ধু আছে। তারা নিয়মিত এই রেস্টুরেন্টে আমার সংগীত পরিবেশনা দেখতে আসেন। পরষ্পরকে বোঝার এই তো সময়। আমি অনেক বছর ধরে চীনে রুশ সংস্কৃতি তুলে ধরছি। অনেক দর্শক আমাকে ভালো জানেন।
রেস্টুরেন্টে ক্রেতা দর্শকরা ইরিনার নাটকীয় পরিবেশনা দারুণ উপভোগ করেন। ২০জনের একটি শিল্পীদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
এখানকার ক্রেতা দর্শকরা সকলেই তাকে পছন্দ করেন। তাদের মতে তিনি শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, একজন বড় শিল্পীও বটে।ইরিনার গানের সঙ্গে ক্রেতারা উপভোগ করতে পারেন রুশ খাবার।
এই রেস্টুরেন্টের অন্দরসজ্জাতেও রুশ সংস্কৃতির ছোঁয়া আছে যা চীনাদের কাছে রাশিয়া ও চীনের দীর্ঘ বন্ধুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ঐতিহ্য তুলে ধরে। অনেক চীনা মানুষ রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন। তাদেরও স্মৃতিকাতর করে তোলে ইরিনার পরিবেশনা।
ইরিনা প্রাতসুয়ুক এভাবে দুটি দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: শান্তা মারিয়া
তং মিংচু: তৃণমূল থেকে শীর্ষ স্থানে পৌঁছানো নারী
চীনের শীর্ষ শিল্পপতিদের অন্যতম হলেন তং মিংচু। তিনি নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শ্রমজীবী পরিবারের সন্তান এই সংগ্রামী নারী কঠোর পরিশ্রম ও বিচক্ষণতায় অর্জন করেছেন সাফল্য। শুনবেন তার গল্প।
সাফল্য এবং নারীর ক্ষমতায়নের একজন আইকন হলেন তংমিংচু। তিনি চীনের বিখ্যাত শিল্পপতি।
গ্রি ইলেকট্রিক কোম্পানির চেয়ারওম্যান তং ১৪তম ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেসের একজন ডেপুটি। তিনি অল চায়না উইমেন ফেডারেশনেরও একজন প্রভাবশালী সদস্য। নারী ও সমাজসেবামূলক অনেক কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত।
চীনের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি এই নারীর জন্ম ১৯৫৪ সালের আগাস্ট মাসে পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের নানচিং শহরে এক শ্রমজীবী পরিবারে। তিনি ছিলেন পরিবারের সাত সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ছোটবেলায় তিনি সৈনিক, চিকিৎসক অথবা শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন।