আকাশ ছুঁতে চাই ১২
এই প্রশিক্ষণ চলাকালীন কঠিন কৌশল পরিচালনার পাশাপাশি প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে পাচ্ছেন উচ্চ স্কোর ।
বয়সে এই পাঁচ নারীই তরুণী। যুদ্ধবিমান পরিচালনায় নারীদের শারীরিক শক্তি যে কোন বাধা নয় সেটিই দেখিয়ে দিয়েছেন এই নারীরা।
এই অল্প বয়সে যুদ্ধ বিমান পরিচালনা করতে পেরে আনন্দিত তারা। এই পাঁচ নারী পাইলটের একজন ইয়ান চংকিউ প্রকাশ করেছেন তার অনুভূতি। তিনি বলেন, "আমরা জনগণকে দেখাতে চেয়েছিলাম , আমরা চীনা নারীরা হেভি ডিউটি যুদ্ধ বিমানও চালাতে পারি। এখন আমরা জে ১১ চালাতে সক্ষম হয়েছি, এবং অদূর ভবিষ্যতে আমরা জে২০ উড়াতে সক্ষম হব।
জানা যায়, এর আগে চীনের নারী যুদ্ধ বিমান পাইলটরা জে-৭ এবং জে-১০ এর মতো হালকা যুদ্ধ বিমান পরিচালনা করেছেন।
চীন ১৯৫১ সালে প্রথম নারী পাইলটদের নথিভুক্ত করে। তখন থেকেই বিমান বাহিনী তার ফ্লাইট স্কুলে প্রায় ৭০০ জন নারীকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩৬০ জন সকল পরীক্ষা এবং ফ্লাইট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিমান বাহিনীতে যোগদান করেছেন।
২০০৫ সাল পর্যন্ত চীনে নারী পাইলটরা শুধুমাত্র পরিবহন বিমান পরিচালনা করতেন।এরপর থেকে শুরু হয় যুদ্ধ বিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণ। চার বছরের মতো কঠিন প্রশিক্ষণের পর অবশেষে ১৬ জন স্নাতক শেষ করেন এই প্রশিক্ষণে। আর একজন হন প্রথম নারী যুদ্ধ বিমান পাইলট।
প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: আফরিন মিম
সম্পাদনা: শান্তা মারিয়া
সুপ্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা।
অনুষ্ঠানটি কেমন লাগছে সে বিষয়ে জানাতে পারেন আমাদের কাছে। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত সাদরে গৃহীত হবে। আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আবার কথা হবে আগামি সপ্তাহে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া,
অডিও এডিটিং: রফিক বিপুল