আকাশ ছুঁতে চাই: পর্ব ৪
প্রায় তিনদশক ধরে গ্রামবাসীকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন দু’জন পল্লী চিকিৎসক। তারা দম্পতি। বিয়ের পর থেকে তারা একসঙ্গে একটি টিম হিসেবে কাজ করে চলেছেন। এমনকি বসন্ত উৎসবের ছুটিতেও তাদের সেবা দান থেমে থাকেনি। সাও হ্যহুয়াই এবং খ তুংফং দম্পতি নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই মনে করেন গ্রামবাসীকে।
চীনের চিয়াংসি প্রদেশের নানছাং এর একটি ছোট্ট গ্রাম শাংবান। এখানে স্বামী সাও হ্যহুয়াই এবং স্ত্রী খ্য তুংফাং দম্পতির সংসার। তবে তারা মনে করেন পুরো গ্রামটিই তাদের বাড়ি। গ্রামবাসীরাও তাদের নিকটজনের মতো মনে করেন।
১৫০ বর্গমিটার স্থানে ছোট একটি ক্লিনিক রয়েছে তাদের। এখানে জ্বর, পেটের অসুখ, সাধারণ রক্তপরীক্ষা, ব্লাড সুগার, ইউরিন পরীক্ষা এবং ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামস পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। বছরে তারা এই ক্লিনিকের জন্য ৩০হাজার ইউয়ান ভর্তুকি পান।
অনেক সময় এই দম্পতি গ্রামবাসীর চিকিৎসার জন্য কোন ফি নেননা। ঔষধও কম মূল্যে বিক্রি করেন।
এই দম্পতির মেয়ে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক এবং ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
সম্প্রতি এই দম্পতি এবং তাদের ছোট ক্লিনিকটি হয়ে উঠেছে তিন হাজার গ্রামবাসীর জন্য ভরসার কেন্দ্র। অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ রোগী দেখতে হয়েছে স্বামী স্ত্রীকে।
জ্বর, ঠান্ডা ও ডায়রিয়ার চিকিৎসায় নিজস্ব কিছু মেডিসিনও রয়েছে তাদের।
শহরে উন্নত জীবন ও ক্যারিয়ার গড়ার অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন তারা। কিন্তু গ্রামবাসীর জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানকেই নিজেদের জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন এই দুই মহান চিকিৎসক।
সুপ্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা।
অনুষ্ঠানটি কেমন লাগছে সে বিষয়ে জানাতে পারেন আমাদের কাছে। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত সাদরে গৃহীত হবে। আমাদের অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।
আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আবার কথা হবে আগামি সপ্তাহে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া
অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল