আকাশ ছুঁতে চাই: পর্ব ৪
পরিবেশ রক্ষার জন্য তিনি পেপার রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নেন মাত্র ছয় বছর বয়সে। তিনি বন্ধুদের নিয়ে একটি দল গঠন করে। তারা ক্লাসরুমে ‘গ্রিন ব্যাংক’ নামে একটি বাক্স রাখেন। সেখানে বাতিল কাগজ জমা করতে থাকেন।
এই পুরনো বাতিলকাগজগুলো বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে গাছের চারা কিনে তারা গাছ লাগানোর কাজ করেন। শিশুদের এই উদ্যোগ প্রচারিত হয় মিডিয়ায়। ফলে অন্যান্য স্কুলের শিশুরা উৎসাহিত হয়ে ‘গ্রিন ব্যাংক’ স্থাপন করা শুরু করে।
একবছরের মাথায় ৯০ হাজার শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৫০ হাজার টুকরো কাগজ রিসাইক্লিংয়ের জন্য সংগ্রহ করে।
২০১৪ সালে ইউয়ান বেইজিংয়ের রোল মডেল হিসেবে মনোনয়ন পান। বেইজিং পাবলিসিটি ডিপার্টমেন্ট তার বিষয়ে বলে যে, ইউয়ান এবং তার বন্ধুদের উদ্যোগের ফলে ১৩০টি গাছ কাটা পড়ার হাত থেকে বেঁচে গেছে। এই গাছগুলোকে কাগজ বানানোর জন্য কেটে ফেলার পরিকল্পনা ছিল।
২০০১ সালে ইউয়ান ফোর্ড কনজারভেশন অ্যান্ড এনভারনমেনটাল গ্র্যান্ট পান। ইউয়ানের সঙ্গে অনেক পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে পরিচয় হয়।
পরিবেশরক্ষার একজন নিবেদিত কর্মী ওয়েই কুই ইংয়ের সহযোগিতায় ইউয়ান একটি স্থানকে বনভূমিতে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
২০০৫ সালে চায়নিজ ইয়ং পায়োনিয়ারস কংগ্রেসে একজন প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়ে সারাদেশে অনেক বন্ধু পান ইউয়ান।
সকলের সহযোগিতায় একটি স্থানকে বনভূমিতে পরিণত করার কাজে এগিয়ে চলেন ইউয়ান। ২০১১ সালে ইউয়ান বেইজিংয়ে ক্যাপিটাল নরমাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। গ্র্যাজুয়েশনের পর রাজধানিীর তুংছাং জেলার তংশিখোও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হন।
বর্তমানে ইউয়ান তার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে চলেছেন। ইউয়ান বলেন, ‘শিশুরা একটু একটু করে শিখছে এবং পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।’
এভাবে পরিবেশ রক্ষায় অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন ইউয়ান রিশ্য।