আকাশ ছুঁতে চাই ৩
উ বলেন, ‘ছোটবেলায় আমার ঘাসফড়িং ধরার শখ ছিল। আমার চাচা শিখিয়ে দেন কিভাবে খড় দিয়ে ঘাস ফড়িংয়ের জন্য খাঁচা বানাতে হয়।সেটাই আমার প্রথম খড় বুননের কাজ শেখা।’
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর উ এই শিল্পে আরও দক্ষতা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বেইজিংয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন । এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রকম কারুশিল্পের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে।
সুই এখানে শুধু ঐতিহ্যবাহী শিল্ধারাকে সংরক্ষণের জন্যই কাজ করছেন না, বরং একে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও সফলভাবে করছেন।
তিনি খড়বুননের মাধ্যমে নতুন নতুন সামগ্রী তৈরি করছেন যা তার সৃজনশীলতারও পরিচয়। খড় দিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহারের সামগ্রীর পাশাপাশি ঘর সাজানোর বা সৌখিন কোন সামগ্রীও তৈরি করছেন তিনি।
সুই মনে করেন, একসময় এ ধরনের কারুশিল্প মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ ছিল। কিন্তু পরে কারখানার তৈরি সামগ্রী সহজলভ্য ও দামে কম হওয়ায় তা বেশি জনপ্রিয়তা পায়। এখন আবার পরিস্থিতি বদলেছে। মানুষ প্রকৃতির কাছে ফিরে আসছে। এখন কারুশিল্পের চাহিদা বাড়ছে।
বর্তমানে চীনে অবস্তুগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এক লাখের বেশি সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারী আছেন দেশ জুড়ে, বিভিন্ন শহর ও গ্রামে।উ সুইয়ের মতো সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারীরা ধারণ করছেন ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে।
সুপ্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা।
অনুষ্ঠানটি কেমন লাগছে সে বিষয়ে জানাতে পারেন আমাদের কাছে। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত সাদরে গৃহীত হবে। আমাদের অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।
আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আবার কথা হবে আগামি সপ্তাহে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া
অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল