আকাশ ছুঁতে চাই ৩
সু হাইসিয়া এভাবে ব্যতিক্রমী শিল্পের মাধ্যমে নিজের ও অন্যের জীবনে এনেছেন স্বাচ্ছন্দ্যর হাওয়া।
ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে নতুন রূপ দিচ্ছেন উ সুই
ওসি: চীনের এই ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প হলো খড়বুনন। এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে নিজের সৃজনশীলতায় উদ্ভাসিত করে গড়ে তুলেছেন এক প্রতিভাবান নারী। এই কারুশিল্পী একজন সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার হিসেবে কাজ করছেন।
গমের খড়, শব্দটি শুনলে প্রথমেই মনে হয় এটি ফসলের বাড়তি অংশ যা শুধু পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু খড় দিয়েও যে সুন্দর শিল্প সৃষ্টি করা যায় একথা প্রমাণ করেছেন চীনের নিংসিয়া হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নারী উ সুই। শুধু খড় নয়, গমের ডাঁটি, ফসল ঝাড়ার পর তুষ এবং অন্যান্য ফেলে দেয়া বস্তু দিয়েও তৈরি হতে পারে অনন্য সব শিল্প।
খড় দিয়ে নানা রকম সামগ্রী তৈরির কারুশিল্প চীনের অনেক স্থানেই আছে। খড়ে বোনা ঝুড়ি, হ্যাট, মাদুরসহ বিভিন্ন সামগ্রীর ব্যবহার আবহমান কাল থেকেই প্রচলিত। চীনের চেচিয়াং প্রদেশে হ্যমুদু স্থানে নিউলিথিক যুগের ধ্বংসাবশেষ থেকে খড়ে বোনা সামগ্রী পাওয়া গেছে। চোও রাজবংশের সময় খ্রিস্টপূর্ব ১১শ শতকেও তার মানে তিন হাজার বছর আগে খড়ের কারুশিল্প প্রচলিত ছিল বলে প্রাচীন বইপত্রে জানা যায়।
এই কারুশিল্প চীনের অবস্তুগত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাতেও রয়েছে। এই ঐতিহ্যের একজন উত্তরাধিকার হলেন উ সুই। তিনি তার পরিবারের ষষ্ঠ প্রজন্ম যিনি এই উত্তরাধিকার বহন করছেন।
তিনি নিংসিয়া হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের হ্যলান কাউন্টির বাসিন্দা। এই কারুশিল্পে উ সুইয়ের হাতে খড়ি হয় ছয় বছর বয়সে তার চাচার কাছে। চাচা ছিলেন একজন কারুশিল্পী এবং পঞ্চম প্রজন্মের উত্তরাধিকারী।
ছোটবেলায় তিনি নিবিড়ভঅবে পর্যবেক্ষণ করেন চাচা কিভাবে খড়,ঘাস, তালপাতা ইত্যাদি দিয়ে নানা রকম সামগ্রী বুনছেন।