আকাশ ছুঁতে চাই ১০৫
তিনি ইন্টারনেটে নিজস্ব ভিডিও দিয়ে থাকেন যাতে শিশুদের অভিভাবকরা স্পিচ থেরাপি নিজেরাও চর্চা করতে পারেন এবং শিশুদের সাহায্য করতে পারেন। তার একক মিডিয়া একাউন্টে ৭ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ফলোয়ার আছে। তারা তাদের সাফল্যের গল্পও এখানে শেয়ার করেছে।
৩১ বছর বয়সী লি হোংচিয়া এখন পর্যন্ত ৫শ’র বেশি শিশুকে কথা বলা শিক্ষা দিয়ে আলোকিত জীবনের পথ দেখিয়েছেন।
নতুন জীবন পেলেন প্রবীণ নারী সু
চীন সরকার প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবায় অনেক যত্নশীল। প্রবীণ নাগরিকরা এখানে অনেক রকম সেবা ও সুবিধা উপভোগ করেন। এমনি একজন প্রবীণ নারী সম্প্রতি ফিরে পেয়েছেন দৃষ্টিশক্তি।
চিয়াংসু প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের এক প্রবীণ নারী সু। ৬৭ বছর বয়সী এই নারী ছিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তার চোখে দরকার ছিল কর্ণিয়া। সুচৌ শহরের হাসপাতালে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু কর্ণিয়া প্রতিস্থাপনের খরচ অনেক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন পাবলিক ফান্ডোর জন্য আবেদন করে। মিলেও যায় অর্থ। সরকারি খরচেই কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্ট হবে। কিন্তু কর্ণিয়া পাওয়া যাবে কোথায়।
এই সময় এগিয়ে আসেন প্রবীণ চিকিৎসক ছু চিকাং। তারও সত্তরের কাছাকাছি বয়স। তিনি ২০১৪ সাল থেকে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত। সিদ্ধান্ত নেনন তার সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দান করে দেওয়ার।
এ বিষয়ে তার স্ত্রী তাকে সমর্থন দেন। সম্প্রতি এই চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেন। তার স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যোগাযোগ করেন যেন তিনঘন্টার মধ্যে কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট করা যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সু’র চোখে দ্রুত অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন।
এরপরেই প্রবীণ চিকিৎসক ছু চিকাংয়ের কর্নিয়া দিয়ে নতুনভাবে পৃথিবীর আলো দেখতে পান প্রবীণ নারী সু।
তিনি মনে করেন চীন সরকারের যে এল্ডারলি কেয়ার বা প্রবীণদের প্রতি যত্ন ও সেবার নীতি রয়েছে তার সুফল হিসেবেই নতুন জীবন ফিরে পেলেন তিনি।
গান : শিল্পী সুন ইয়ানজি
চীনা ভাষার একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সুন ইয়ানজি। মূলত পপ সংগীত তারকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তিনি একজন জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার, অভিনয়শিল্পী, সংগীত আয়োজক এবং উদ্যোক্তা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংগীত পরিবেশন করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। চীনা বংশোদ্ভুত সিংগাপুরের এই কণ্ঠশিল্পী চীনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
এখন শুনবো সুন ইয়ানজির কণ্ঠে একটি গান।
নৃত্যশিল্পে প্রতিভা
নৃত্যশিল্পে দারুণ সফলতা দেখিয়েছে চীনা মেয়েরা। বিশেষ করে লাতিন ঘরোনার নাচে এখন অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এমনই একজন নৃত্য শিল্পী চাং স্যিয়াও স্যিয়াও। নৃত্যকে এক অনন্য মাত্রায় পৌঁছে দিতে চান এই নারী।
সূর্যের আলোকরশ্মিও যেন নৃত্যে মেতেছে। ঝলমলে দিনের শুরুটা হয় নাচের রিহার্সেলের মধ্য দিয়ে। বুদ্ধিদীপ্ত এই নৃত্য শিল্পীর নাম চাং স্যিয়াও স্যিয়াও। ২৮ বছর বয়সী এই তরুণী হলেন হ্যেনান বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য শিক্ষক।