আকাশ ছুঁতে চাই ১০৩
চৌ ইয়ুথোং। গেল দুই বছরে তিনি তিনশ’র বেশি হেয়ারপিন এবং অন্যান্য হেয়ার একসেসরিজ বানিয়েছেন। এগুলোর ডিজাইন তিনি করেছেন প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী চীনা অলংকারের নকশায়।
লাল, নীল, গোলাপি, সোনালি বিভিন্ন রঙের পাথর, পুতি, মুক্তা ব্যবহার করেছেন তিনি। পালক, স্বর্ণ, রূপা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদির উপর নানাভাবে নকশা করে তিনি চুলের অলংকার তৈরি করেছেন।
কানসু প্রদেশের লানচোও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট চৌ ইয়ুথোং। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী চীনা পোশাকের প্রতি আকর্ষণ থেকেই চুলের অলংকার বানানো শুরু করি।’
ঐতিহ্যবাহী চীনা পোশাক পরতে ভালোবাসেন চৌ। হানফু পরে তারসঙ্গে চীনা স্টাইলে চুল বেঁধে বিভিন্ন অলংকার পরে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো হয়ে দাঁড়ায় তার প্রধান অবসর বিনোদন।
প্রথম হেয়ারপিনটি তিনি বানান হালকা নীলরঙের । পাতার আকারে হেয়ার পিন বানিয়ে তার উপর পুতি বসান। তবে সে নেহাত কাঁচা হাতে বানানো ছিল্ পাতাগুলো সমান হয়নি, পুতিও ঠিকভাবে বসেনি।
এখন কিন্তু তিনি অনেক দক্ষ হয়েছেন। প্রথমে বন্ধুদের জন্য চুলের অলংকার বানানো শেুরু করেন। এরপর চেনাজানারা কিনে নিতে থাকেন।
এক বছরের মধ্যেই চৌ ইন্টারনেটে তার তৈরি সামগ্রী বিক্রি করা শুরু করেন। অনেক অর্ডারও পেতে থাকেন।
প্রথম যে পণ্যটি তিনি বিক্রি করেন সেটির কথাও স্পষ্ট মনে আছে চৌর। চীনা সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী লাল-গলা সারসের আকারে হেয়ার পিন তৈরির অর্ডার পান তিনি। চৌ চিন্তা করেনিএক্ষেত্রে জেড পাথর ব্যবহার করবেন।তিনি জেড পাথরে সারসটি তৈরি করে তার চারপাশে মেঘ ও ফুলের পাপড়ির আকারে পুতি বসান। সেটি চীনের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দীর্ঘজীবনের প্রতীক হয়।
চৌ বলেন ‘আমি আশা করি আরও অনেক সুন্দর ও বিশেষ ধরনের চুলের অলংকার তৈরি করবো যেগুলো চীনা সংস্কৃতির প্রতি গ্রাহকদের ভালোবাসা বাড়িয়ে দিবে।’
চৌ তার শিল্পকর্মের অনেক আইডিয়া পেয়েছেন চিরায়ত চীনা কবিতা থেকে। স্কুলে যেসব কবিতা পড়েছেন সেগুলো তাকে নতুন নতুন প্রেরণা দিয়েছে।
এইভাবে ঐতিহ্যকে ব্যবহার করে নতুন ফ্যাশন সৃষ্টি করেছেন চৌ ইয়ুথোং।
চীনা ভাষাকে বিদেশিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন হাও খাই লি
চীনা ভাষাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করিয়ে দিতে দারুণ কিছু উদ্যোগ নেন এই ভাষার প্রশিক্ষকরা। তেমনই একজন নিবেদিত শিক্ষক হলেন চীনা তরুণী হাও খাই লি। তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে শুধু ভাষা নয় চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্পর্কেও ভালো ধারণা পাবেন শিক্ষার্থীরা। বিস্তারিত জানাবেন, হাবিবুর রহমান অভি।