আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ১০২
হুনান প্রদেশের লিলিং শহরে ১৯৬৮ সালে জন্ম হুয়াংয়ের। লিলিং হলো চীনের তিনটি পোর্সেলিন রাজধানীর অন্যতম। এখানকার পোর্সেলিন শিল্পের খ্যাতি রয়েছে দেশে বিদেশে।
হুয়াং শৈশব থেকেই এই শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হন। কারণ তার বাবা ছিলেন একটি পোর্সেলিন কারখানার কর্মী। তিনি বাবার কারখানার শিল্পীদের দিকে অপলক তাকিয়ে তাদের কাজ দেখতেন।
পোর্সেলিন শিল্পে লিলিং শহরের রয়েছে দুহাজার বছরেরও বেশি ঐতিহ্য। বিশেষ করে পাঁচরঙা আন্ডার গ্লেজড পোর্সেলিন সামগ্রী তৈরি হয় এখানে। এটি তৈরি হয় ৭২টি ধাপ অতিক্রম করে।
হুয়াংয়ের শিল্পগুরু হলেন তং ওয়ানখ্য। তং ওয়ানখ্য বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ হয়ে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। তিনি কাউকেই চিনতেন না। কিন্তু যখন তার হাতে পোর্সেলিনের একটি সামগ্রী তুলে দেয়া হয় তখন তিনি এটির নাম বলতে পারেন। ওই অবস্থাতেও হাতে তুলি নিয়ে কিছু আঁকতে পারেন। ঘটনাটি হুয়াংকে প্রবলভাবে আলোড়িত করে। তিনি এই শিল্পচর্চায় জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেন।
২০০০ সালে হুয়াং একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এই প্রতিষ্ঠানে লিলিং পোর্সেলিন বিষয়ে পাঠ, গবেষণা, নকশা তৈরি হবে। এখান থেকে লিলিং পোর্সেলিন বিক্রিও হবে। তিনি এখানে শিক্ষানবীশদের নিয়োগ দেওয়াও শুরু করেন।
হুয়াং এই সুপ্রাচীন শিল্পধারাকে আধুনিক জীবনের উপযোগী করে তোলার সমন্বয়মূলক কাজ করেন সাফল্যের সঙ্গে। তিনি টিসেট, ফুলদানি, পানপাত্র, এমনকি আসবাবপত্রও তৈরি করেন নকশাকাটা পোর্সেলিন দিয়ে। এতে তরুণ প্রজন্মের কাছে তার কাজ জনপ্রিয়তা পায়।
লিলিং পোর্সেলিন শিল্প আধুনিকভাবে বিকশিত হতে থাকে। চার হাজারের বেশি ধরন রয়েছে এর। বিশ্রে ১৫০টি দেশ ও অঞ্চলে এই সামগ্রী রপ্তানি হয়। শিল্প-পোর্সেলিন সাধারণ হাতে তৈরি হয়। তবে কারখানাতেও এগুলো তৈরি করা সম্ভব। হুয়াং ৭০টি স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন লাইনের মাধ্যমে এই শিল্প তৈরি করেন। তার হাতে তৈরি পোর্সেলিন শিল্পের চাহিদা অনেক বেশি। তিনি পোর্সেলিন শিল্পের বিকাশে চেষ্টা করেছেন, এবং সফলও হয়েছেন।
তিনি ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ১৩তম অধিবেশনে একজন ডেপুটি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
হুয়াং সিয়াওলিং তার পরিশ্রম ও দক্ষতায় পোর্সেলিনের অন্যতম সেরা শিল্পী হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন অনেক বার।
সুপ্রিয় শ্রোতা , আজ আর কথা নয়, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া
অডিও সম্পাদনা: রওজায়ে জাবিদা ঐশী