আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ১০২
১. মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন হুয়া ইয়ুছেন
২. চীনা-কিউবান নারীশিল্পীর একক প্রদর্শনী চলছে সাংহাইতে
৩. বিশ্বকাপে নারী রেফারি
৪. গান: শিল্পী ছান মিং
৫ ইতিহাসকে তুলে ধরছেন যে তরুণী
৬. পোর্সেলিনের অনন্য শিল্পী
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্টানে সবাইকে স্বাগতজানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আজ আমরা কথা বলবো এমন একজন নারীকে নিয়ে যিনি তার পেশায় যেমন অবদান রাখছেন তেমনি কোভিড ১৯ মহামারির সময়ে ভলেনটিয়ার হিসেবেও সমাজের সেবা করেছেন। চলুন শোনা যাক তার কথা।
মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন হুয়া ইয়ুছেন
হুয়া ইয়ুছেন। একজন মিউজিক টিচার। মধ্যচীনের হুপ্যেই প্রদেশের উহান শহরের কাংহুয়া এলিমেন্টারি স্কুলের সংগীত শিক্ষক তিনি। কিন্তু অন্য দশজন গতানুগতিক শিক্ষকের ভিড়ে তিনি একেবারেই অন্যরকম।
শিশুদের তিনি যত্নের সঙ্গে গান শেখান, গল্প বলেন, এবং নানা রকম আনন্দময় পদ্ধতিতে তাদের মধ্যে জানার আগ্রহকে জাগিয়ে তোলেন।
উহানে যখন কোভিড মহামারী দেখা দেয় তখন সাহসের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকের কাজে এগিয়ে আসেন হুয়া ইয়ুছেন। তিনি মেডিকেল কর্মীদের পরিবহনে করে আনা নেয়া করতেন। টোল স্টেশনে গাড়ি চালকদের টেম্পারেচর পরীক্ষা করতেন এবং হাসপাতালের ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে চীনা গান ‘আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা’ পরিবেশন করেন। এটা তিনি করেন রোগীদের মনোবলকে চাঙা করতে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একজন কর্মী হুয়া ইয়ুছেন। তিনি বলেন, ‘পার্টিতে যোগ দেয়ার পর আমি অনুভব করি যে আমাকে ভালো কিছু কাজ করতে হবে।’
তিনি শুধু কোভিড মোকাবেলার যুদ্ধেই সৈনিক নন, শিশুদের মধ্যে তিনি সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে সহকর্মীদের প্রশংসাও পেয়েছেন।
স্কুলের অভিভাবকরাও তার কাজে খুব খুশি। অনেকেই বলেছেন তার সন্তান ছিল লাজুক প্রকৃতির। কিন্তু হুয়া ইয়ুছেন তাদের সংগীত ও নাচে আরও প্রেরণা দিয়ে প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করছেন। শিশুরাও তাকে অনেক পছন্দ করে। তার শিক্ষার্থীরা একাধিকবার প্রাদেশিক পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে।