আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ১০২
ছান মিং এর অনেক বিখ্যাত অ্যালবাম রয়েছে। ‘হ্যাপি হোমটাউন’, ‘আমি তোমাকে খুঁজি’, ‘একাকীত্ব আমাকে সুন্দর করেছে’ ইত্যাদি অ্যালবাম বেশ জনপ্রিয় হয়।
ছান মিং ছোটবেলায় বাবাকে হারান। বাবার মৃত্যুর পর তাদের পরিবার অনেক সংকট অতিক্রম করে। ছান মিং তার বৃদ্ধ মায়ের সেবায় অনেক আত্মত্যাগ করেন। এই বিষয়গুলো ছান মিংকে শ্রোতা দর্শকদের কাছে আরও প্রিয় করে তোলে। তিনি শেনচেন ও কুয়াংচোওতে অনেক বছর কাজ করেছেন।
বলা হয়ে থাকে উত্তর চীনে রয়েছেন বিখ্যাত শিল্পী না ইং আর দক্ষিণ চীনের আছেন ছান মিং।
সুপ্রিয় শ্রোতা চলুন, ছান মিংয়ের কণ্ঠে একটি গান শুনি।
ইতিহাসকে তুলে ধরছেন যে তরুণী
হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা সবার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কারণ এজন্য ইতিহাস সম্পর্কে থাকতে হয় গভীর জ্ঞান আর বিশ্লেষণধর্মী মনন। বর্ণনাশৈলীতে যুক্ত করতে হয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন সভ্যতাকে সাবলীল করে তুলে ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন একদল চীনা তরুণ তরুণী। এবারএমনই একজন উদ্যমী তরুণীর গল্প শোনাবো আপনাদের। বলবেন হাবিবুর রহমান অভি
বিশ্বের ১০টি সুন্দর শহরের একটি চীনের হাংচৌ শহর। এর সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে হাজারো মানুষ ভ্রমণ করেন সেখানে। হানচৌতেই অবস্থিত লিয়াংচু ধ্বংসাবশেষ যা চীনের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়।
২৯ বছর বয়সী এই তরুণী কাজ করেন লিয়াংচু জাদুঘরে। তার অন্যতম দায়িত্ব হলো এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের চীনের প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে ধারণা দেয়া। শি চৌ ইং একরকম গল্পের ভঙ্গিতে সভ্যতা নিয়ে কথা বলেন, তাই পর্যটকরা খুব সহজেই হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়ে যান।
লিয়াংচুর সংস্কৃতি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা এবং হরপ্পা সভ্য
তার সমসাময়িক। এতে ১ লাখেরও বেশি সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে সূক্ষ্ম হলো ইউছংওয়াং। এছাড়াও রয়েছে চমৎকার জেড শিল্প, উন্নত ধান চাষ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্প যা হাজার বছরের চীনা সভ্যতার নিদর্শন বহন করছে।
চীনের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যেও হাংচৌ অন্যতম। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষের বসবাস এই শহরে। এবং প্রতিবছর ২০ কোটি পর্যটক হাংচৌতে ভ্রমণ করেন। গেল ৬ বছরে ৬০ হাজারেরও বেশি পর্যটককে চীনের ইতিহার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন শি চৌ ইং। আর মজার ব্যাপার হলো চীনের অধিকাংশ জাদুঘরে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারেন পর্যটকরা।
চীনে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে জাদুঘর শিল্প। আর এই শিল্পকে বিশ্ববাসীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন শি চৌ ইংয়ের মতো উদ্যোমী চীনা নাগরিক।
পোর্সেলিনের অনন্য শিল্পী
পোর্সেলিন শিল্প চীনের ঐতিহ্যবাহী এক অনন্য শিল্প। পোর্সেলিনের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর উপর নকশা করেন সুদক্ষ শির্পীরা। এজন্য প্রয়োজন হয় শিল্পবোধ, দক্ষতা ও দীর্ঘ চর্চচার। হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরের এই শিল্পের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলেছেন একজন নারী। তার নাম হুয়াং সিয়াওলিং। এই শিল্পী তার সংস্কৃতির ধারা বাঁচিয়ে রেখে খ্যাতি ও সম্মান পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে। চলুন শোনা যাক তার কথা। বলছেন আফরিন মিম
হুয়াং সিয়াওলিন। পোর্সেলিনের উপর নিপুণ হাতে তিনি সৃষ্টি করছেন অনন্য সব শিল্প। কয়েক দশক ধরে সাফল্যের সঙ্গে এই শিল্পের চর্চা করছেন তিনি।