আকাশ ছুঁতে চাই ১০১
১. একজন দেশপ্রেমিক নারী বিজ্ঞানী
২. ইন্দোনেশিয়ার নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসায় ফেং লি ইউয়ান
৩. নারী উন্নয়ন নীতিতে সর্বচীন নারী ফেডারেশনের অনুষ্ঠান
৪. গান: শিল্পী হান হোং
৫. চলে গেলেন কিংবদন্তির পিয়ানো শিল্পী
৬. গ্র্যামি মনোনয়নে বাংলাদেশের গান নাশিদ কামাল-আরমিন মুসার রেকর্ড
৭. কৃতী নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা হান লে
৮. বাংলাদেশের দশ কৃতী নারীর অনন্যা শীর্ষদশ লাভ
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমরা শুনবো এমন এক নারীর কথা যিনি একজন প্রতিভাবান বিজ্ঞানী। দেশের সেবা করার জন্য বিদেশে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের আকর্ষণ ত্যাগ করে চীনে ফিরে এসেছেন। চলুন শোনা যাক এই দেশপ্রেমিক নারীর গল্প।
দেশপ্রেমিক নারী ইয়ান নিং
ইয়ান নিং। চীনের মেয়ে। তিনি একজন প্রতিভাবান বায়োলজিস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রিন্সটন ইউনিভারিসিটির প্রফেসর। সেখানে তার ক্যারিয়ার অত্যন্ত উজ্জ্বল। কিন্তু কিছুদিন আগেহ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে চলে আসবেন মাতৃভূমি চীনে। সেখানে শেনচেন মেডিকেল একাডেমি অফ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রান্সলেশন প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলবেন যেন দেশের বিজ্ঞান চর্চা আরও এগিয়ে যায়।
তার এই ঘোষণা চীনা যোগাযোগ মাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই আবেগে আপ্লুত হন। নেটিজেনরা তাকে ‘বিজ্ঞান দেবী’ অভিধায় ভূষিত করেন।
ইয়ান নিংয়ের এই দেশপ্রেম আরও অনেক প্রবাসীকে অনুপ্রাণিত করেছে। তারা ভাবছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর সেখানেই বসবাস না করে ফিরে আসবেন স্বদেশে। দেশগঠনের জন্য কাজ করবেন। দেশেই বেছে নিবেন জীবিকার উপায়। ইয়ান নিং এখন হয়ে উঠেছেন তাদের প্রেরণা।
ইন্দোনেশিয়ার নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসায় ফেং লি ইউয়ান
চীনের ফার্স্টলেডি ফেং লি উইয়ান সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন তানজিদ বসুনিয়া
ইন্দোনেশিয়ার নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ সুরক্ষার সাথে নৈপুণ্যের দক্ষতা একীভূত করার প্রশংসা করেছেন চীনের ফার্স্টলেডি ফেং লি ইউয়ান। পাশপাশি চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য আশা প্রকাশও করেন তিনি।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-টোয়েন্টির সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকারী নেতাদের স্ত্রীদের একটি ইভেন্টে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ফেং লি বলেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া প্রাসঙ্গিক শিল্প বিকাশের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ রক্ষার আঞ্চলিক প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে এই ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে পারে” ।
ইভেন্টে যোগদানের পর ফার্স্ট লেডি ইরিয়ানা জোকো উইদোদো তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।এরপর ইরিয়ানা জোকো উইদোদোর সাথে ফেং লি স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র, পোশাক, বেতের কাজ এবং খাবারের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন । এছাড়া বুননেও অংশ নেন তিনি। সেখানে ফেং একটি বোনা ব্যাগে জি-টোয়েন্টি বালি সম্মেলনের লোগো এবং ইভেন্টের ফুলের ছবি আঁকেন ।
ইভেন্টে অংশ নেওয়া অন্যান্য নেতাদের স্ত্রীদের সাথে স্থানীয় নাচের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন ফেং লি ইউয়ান।