আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৮৯
১. নারীদের নিজস্ব উপার্জনটা খুব জরুরী: লিপিকা গুহঠাকুরতা, সংগীত শিল্পী
২. সাহস করে জীবন গড়লেন ইউননানের ইয়ান সং
৩. মিয়াও জাতির ঐতিহ্যকে জাগিয়ে তুলছেন যে নারী
৪ চীনা দম্পতির হাত ধরে মার্শাল আর্ট শিখছে শিশুরা
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।
নারীদের নিজস্ব উপার্জনটা খুব জরুরী: লিপিকা গুহঠাকুরতা, সংগীত শিল্পী
বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন লিপিকা গুহঠাকুরতা। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ মাকে দেখতে এসেছিলেন ঢাকায়। বাংলাদেশের একজন নারী হিসেবে কিভাবে তিনি অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে নিজেকে সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন আজ শুনবো সেই গল্প। আমাদের অনুষ্ঠানে তাকে স্বাগত জানাই।
সাক্ষাৎকার
লিপিকার জন্ম বাংলাদেশের বরগুনায়। বাবা নিত্য গোপাল সমাদ্দার একজন সংগীতশিল্পী। মাও ভালো গান গাইতেন। লিপিকার বড়ভাইও একজন সংগীত শিল্পী। সবমিলিয়ে একটি সংগীতপ্রেমী পরিবারে বেড়ে ওঠেন লিপিকা। বাবার কাছেই প্রথম সংগীতে হাতেখড়ি হয়। শৈশবে ঘটনাচক্রে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। যদিও পরিবারের সদস্যরা থেকে যান বাংলাদেশেই। লিপিকা কলকাতায় বেড়ে ওঠেন। গানের প্রতি তার ছিল প্রবল ভালোবাসা।
এই ভালোবাসা থেকেই চর্চা চালিয়ে যান। বিয়ের পর তার পদবী পাল্টে লিপিকা গুহঠাকুরতা নাম হয়। তবে পাল্টায় না গানের প্রতি আকর্ষণ। শ্বশুরবাড়িতেও তিনি সংগীত চর্চা ছাড়েননি অনেক পারিবারিক দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও। একসময় জি বাংলা টিভি চ্যানেলে একটি রান্নার অনুষ্ঠানে সুযোগ পান। তারপর জি বাংলাতেই অডিশন দিয়ে শিল্পী হিসেবে সুযোগ পান গান গাওয়ার। এরপর থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তিনি সংগীত পরিবেশন করা শুরু করেন। তিনি সংগীতগুরুদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে গান শেখাও শুরু করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তালিকাভুক্ত ফোকশিল্পীও তিনি। লিপিকা নজরুল সংগীত এবং লোকগানেই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কলকাতায় প্রতিযোগিতা অনেক। সেখানে প্রতিষ্ঠা পেতে তাকে প্রচুর চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়েছে। গান শিখতে হয়েছে পরিশ্রম করে।