আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৮৩
এমনি একজন নারী চিয়ানহোং। বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট বা বি অ্যান্ড বি হাউসকিপারের কাজ করছেন তিনি ২০২০ সাল থেকে। লিউ বলেন, ‘সিয়ান শহরে আমি অনেক বছর কাজ করেছি। কিন্তু কফির কাপে কিভাবে নকশা করতে হয় সেটা জানতাম না। এখন প্রতিদিন আমি ২০ কাপের বেশি নকশা করা কফি বানাতে পারি।’
লিউবা কাউন্টির গ্রামবাসী নারীরা বিঅ্যান্ড বি হাউসকিপিং কাজ শিখে নিজের গ্রামে বসেই চাকরি করতে পারছেন।
অনেকে হাউস কিপিং শিখে নিজের বাড়িটাকে রেস্ট হাউস বানিয়ে ভালো আয় করছেন। দেড় মাসের কোর্স করে লিউ এর সঙ্গে ১২ থেকে ২০ জন নারী নিজেদের নতুন পেশায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরা প্রত্যেকে মাসে চার হাজার ইউয়ানের বেশি বাড়তি রোজগার করছেন।
লিউবা কাউন্টিতে তিন বছরে ১০০ হাউসকিপার বিঅ্যান্ডবি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। চল্লিশোর্ধ অনেক নারী এই প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন পেশায় এগিয়ে আসছেন।
রান্নাসহ গৃহস্থালি কাজে নারীদের সহজাত দক্ষতা এবং বি অ্যান্ড বি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নারীরা পেশাগত উন্নতি করছেন।
সিনচিয়াংয়ের ছোট্ট মেয়ে এজিজে
চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ের জীবনে লেগেছে নতুন প্রাণের ছোঁয়া। বিশেষ করে মেয়েশিশুরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় শিক্ষাগ্রহণ করছে। তাদের জীবনের লক্ষ্যও গতানুগতিক ধারার নয়। তারা এখন নভোচারী, বিজ্ঞানী বা শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। সিনচিয়াংয়ের নতুন যুগের এমনি এক শিশুর কথা শুনবো প্রতিবেদনে।
উরুমছি শহরের নয় বছরের মুসলিম মেয়ে এজিজে। উরুমছির ১২ নম্বর প্রাইমারি স্কুলে পড়ে এজিজে। বাবা মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে সুখের জীবন এজিজের। এজিজে বলে, ‘মা আমার লেখাপড়ায় খুব মনোযোগ দেন’। স্কুলের হোমওয়ার্ক বাড়িতে ভালোভাবে শিখতে মা তাকে সাহায্য করেন। পিয়ানো বাজানো শেখা এবং বিশেষ ইংরেজি ক্লাসেও অংশ নিচ্ছে এজিজে।
তার বাড়িতে রয়েছে নানা রকম খেলনা। ছোটভাইকে নিয়ে এজিজে অবসর সময়ে মেতে ওঠে খেলাধুলায়। এজিজের মা একজন কর্মজীবী নারী। তবে সন্ধ্যায় তিনি মেয়েকে নিয়ে যান পিয়ানো শেখার ক্লাসে। এজিজের ছোটভাইও বোনের পাশে বসে পিয়ানো শেখার চেষ্টা করে। বাড়িতে ফিরেও চলে প্র্যাকটিস।