আকাশ ছুঁতে চাই ৭২
এই দলের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য থাং চিংই। ৪৭ বছর বয়সী থাং স্কুলে থাকতে ফুটবল খেলতেন। প্রাদেশিক চ্যাম্পিয়ন টিমের সেরা খোলোয়াড় ছিলেন তিনি। তবে ১৮ বছরের পর খেলা ছেড়ে দেন থাং। কারণ তিনি ভয় পেতেন খেলা তার নারী সুলভ আকর্ষণকে ম্লান করে দেবে। তিনি বিউটিশিয়ানের পেশা গ্রহণ করেন এবং নিজের বিউটি পার্লার খোলেন। তার স্বামী রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে কাজ করেন। অনেক বছর পর আবার থাং ফিরে এসেছেন ক্রীড়া জগতে।
মায়েদের দলের সদস্যদের প্রত্যেকেরই রয়েছে এমন সব গল্প। তাদের কেউ শিক্ষক, কেউ কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ, কেউ দোকান কর্মী। শখের বশেই তারা আবার খেলায় ফিরেছেন। গত মাসে তারা পুরুষদলের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে পুরুষদলকে হারিয়ে দিয়েছেন।
নারীদের এই দলটি প্রমাণ করেছেন বয়স কোন বাধা নয়।
গান: হুই নারী
সুপ্রিয় শ্রোতা, চীনের মুসলিম জাতিগুলোর মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে বৃহত্তম হুই জাতি। হুই জাতির রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি । হুই জাতির একজন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী হলেন হা হুই। তিনি ইসলামি ঐতিহ্য এবং হুই জাতির ঐতিহ্য নিয়ে অনেক গান পরিবেশন করেছেন। এখন আমরা হা হুইয়ের কণ্ঠে শুনবো একটি গান। গানটির শিরোনাম হুই নারী।
সিনচিয়াংয়ের অভিনয় শিল্পী আমাতজান
চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ের রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। উইগুর জাতির একজন নারী অভিনয় ও নৃত্যশিল্পী মায়েলা আমাতজান সম্প্রতি তার মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় চীনের সংস্কৃতি জগতে তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। বিস্তারিত শুনবো প্রতিবেদনে।
উইগুর জাতির মেয়ে। মায়েলা আমাতজান। সিনচিয়াংয়ের একজন বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী। সম্প্রতি সিনচিয়াংয়ের রাজধানী উরুমছিতে একটি নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ হয়। নৃত্যনাট্যটির শিরোনাম চাং ছিয়ান। নৃত্যনাট্যের কাহিনী গড়ে উঠেছে ২০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দের পশ্চিম হান রাজবংশের রাজকীয় দূত চাং ছিয়ানের জীবন ভিত্তি করে। দুই হাজার বছর আগে চাং ছিয়ানের সিনচিয়াং সফর ও রেশম পথের প্রতিষ্ঠার কাহিনী ভিত্তিক এই ডান্স ড্রামায় প্রতিভার দ্যুতিতে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন আমাতজান।
৩৫ বছর বয়সী আমাতজান নাচ শিখছেন ১১ বছর বয়স থেকেই। বেইজিং থেকে নৃত্যশিল্পে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে তিনি তার জন্ম শহর উরুমছিতে ফিরে আসেন এবং সিনচিয়াং আর্ট থেয়েটারে নৃত্য শিল্পী ও অভিনয় শিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।