আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৬৯
বি সিয়াও তাঁর লেখা বইয়ে বর্ণনা করেন, “রবীন্দ্রনাথের কবিতা জাগতিক বন্ধন দূর করে মানবতাকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি দেয়। তাই, তাঁর কবিতায় প্রায়শই শান্তি ও স্থিতি খুঁজে পান তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাজগুলো কালজয়ী হয়ে থাকবে সমসময়।
বি সিয়াও রবীন্দ্রনাথকে ভিতরে লালন করেন, ধারণ করেন এবং কবির আদর্শকে চর্চার মাধ্যমে আরো ছড়িয়ে দিতে চান মানুষের মাঝে। রঙ তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলেন মনের গহীন কথা।
সিনচিয়াংয়ের সুখী শিক্ষিকা
চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ের নারীরা বর্তমানে বিভিন্ন পেশা গ্রহণ করছেন। অতীতে তারা কেবল ঘরসংসার ও পারিবারিক কৃষিতে শ্রম দিলেও বর্তমানে তারা চাকরি করছেন, উপার্জন করছেন এবং অনেক বেশি অধিকার উপভোগ করছেন। সিনচিয়াংয়ের শিশুরাও কিন্ডারগার্টেন স্তর থেকেই আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। চীন সরকার শিশুদের শিক্ষার বিষয়টিকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শুনুন সিনচিয়াংয়ের একজন আধুনিক স্কুল শিক্ষিকা ও তার স্কুলের শিশুদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন
সিনচিয়াংয়ের একজন স্কুল শিক্ষিকা সেনবাত বায়বিত। তিনি বুরছিন কাউন্টির এগিজতোবে শহরের একটি কিন্ডারগার্টেনে চাকরি করেন। এই কিন্ডার গার্টেনের প্রতিটি শিশুর জন্য সরকার থেকে বার্ষিক ২৮০০ ইউয়ান ভর্তুকি দেওয়া হয়। শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় স্কুল থেকেই। দুবেলা খাবার ও ডেজার্ট দেয়া হয়।
সেনবাত নিজেই শিশুদের খাইয়ে দেন। যত্ন করেন তাদের। প্রিস্কুলের ছোট ছোট শিশুদের তিনি ছবি আঁকতে শেখান। খেলার ছলে কিছুটা লেখাপড়া, অক্ষর পরিচয় হয় তাদের। পাঠ্যবই, রংপেন্সিলসহ সব রকম শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয় বিনামূল্যে।
শিশুরা সেনবাতকে খুব ভালোবাসে। কারণ তিনি তাদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল। তিনি ধৈর্য্ ধরে ওদের শিক্ষাদান করেন। সেনবাত সিনচিয়াংয়ের আধুনিক নারীদের প্রতীক যারা এই অঞ্চলের সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন।