বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৬৯

CMGPublished: 2022-04-14 19:58:43
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সিয়াও তার শৈশব, ভালবাসার গল্প ও বিদেশে কাজকর্মের অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে রবীন্দ্র-সাহিত্যের সাথে তার বিশেষ সম্পর্কের অনুভূতি তার বই ‘বেগুনি তুষারে’ তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি খুব কল্পনাপ্রবণ ছিলাম। আমি চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছি। তখন চীনের উত্তরাঞ্চলের সমভূমিতে খালি পায়ে আমি রোদে দৌঁড়াতাম। সেটা ছিল আমার জীবনের সুন্দর সময়। কিন্তু সামাজিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে জীবনের গতিও পরিবর্তন হয়েছে। শহুরে জীবন তুলনামূলকভাবে কোলাহলপূর্ণ এবং ভীষণ ব্যস্ত।

বি সিয়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়। তারপর বিয়ে। তাঁর স্বামী একজন চীনা কূটনীতিক ছিলেন। স্বামীর কাজের সুবাদে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হয় তাকে। সেখানে স্নাতকোত্তর পড়া শেষ করেন তিনি।

পরবর্তীতে বি সিয়াওর স্বামী যুক্তরাষ্ট্রে তার কাজের মেয়াদ শেষ করে চীনে ফিরে যান এবং ভারতের কলকাতায় চীনা কূটনীতিক হিসেবে যোগদান করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জীবন খুব গতিময় হওয়ায় সিয়াও একাকিত্ব অনুভব করেন এবং এক পর্যায়ে দেশে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ‘আমি সাহিত্যের প্রতি অনুরক্ত ছিলাম। ভারতে যাওয়ার আগে থেকেই, রবি ঠাকুরকে জানার আমার বিশেষ আগ্রহ ছিল। আমি যখন জানলাম যে, কলকাতায় তাঁর জন্মস্থান, তখন আমি আরও বেশি কৌতুহল অনুভব করি এবং আমি কলকাতায় চলে যাই। ’

ভারতের সবকিছুই বি সিয়াওর কাছে পরিচিত মনে হতে থাকে; তিনি সেখানে নতুন জীবন খুঁজে পান। পাশাপাশি, সেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর সাহিত্যের সাথে পরিচিত হন।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn