বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৬১

CMGPublished: 2022-02-17 18:41:18
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

কু আইলিং। দুই শব্দের একটি নাম। কিন্তু এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে শত-সহস্র মানুষের পাহাড়সম আবেগ।

এবারের শীতকালীন অলিম্পিক্সে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আলোচিত নাম কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলেও বেরিয়ে আসবে সেই একটি নাম; কু আইলিং।

আলোচনার পরিসরটা ছোট হলেও কোন কথা ছিলো না। কিন্তু এই নামের পরিধি এতটাই বড় হয়েছে যে তা ছড়িয়ে পড়েছে বেইজিং থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত।

খুব কম সময়ের মধ্যেই চীনের মানুষের কাছে পরম ভালোবাসার প্রদীপ হয়ে উঠেছেন এই তরুণী, যে ভালোবাসাকে শত জনম আগলে রাখতে চায় মানুষ। কে এই কু আইলিং? ঠিক কি কারণে এত আলোচনা এই তরুণীকে নিয়ে?

কু আইলিংয়ের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর বাবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও মায়ের জন্ম চীনে। তাই ছোটবেলা থেকেই চীনের প্রতি ভালোবাসা ও আবেগের কোনো কমতি ছিলো না।

পেশায় একজন অ্যাথলিট হলেও ইতোমধ্যে একজন ফ্যাশন মডেল হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী। কাজ করেছেন বিশ্ববিখ্যাাত সব ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সঙ্গে।

কৈশোরে পড়ালেখা, আর পিয়ানোতেই মজে ছিলেন কু আইলিং। কিন্তু পরবর্তীতে ঝুঁকে পড়েন স্কিয়িংয়ের প্রতি। খুব দ্রুতই দারুণভাবে রপ্ত করেন স্কিয়িংয়ের সব নান্দনিক দক্ষতা।

মায়ের দেশ চীনকে নিজের শিকড় হিসেবে ভাবতেন কু আইলিং। তাই চীনের হয়ে কিছু করার অভিপ্রায় ছিলো সেই ছোট বেলা থেকেই। সেই অভিপ্রায়কে পূর্ণতার পথ দেখায় স্কিয়িং খেলা।

বরফের বিশাল ফিল্ডে নিজের প্রতিভা ও দক্ষতা দেখানোর জন্য বেছে নেন ফ্রি স্টাইল স্কিয়িংকে। সিন্ধান্ত নেন এই খেলাতেই চীনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শুরু করেন কঠোর পরিশ্রম। অবশেষে পরিশ্রমের ফলও আসে হাতেনাতে। ২০১৯ সালে চীনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান তিনি। চীনের হয়ে ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক্সে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন এই তরুণী। শুরু হয় অলিম্পিক্স যাত্রা।

সত্যি হয়েছে সেই পরম আরাধ্য বাসনা। নিজের প্রথম অলিম্পিক্সে নেমেই সৃষ্টি করলেন ইতিহাস। মাত্র ১৮ বছর বয়সে চীনের হয়ে ফ্রি-স্টাইল স্কিয়িংয়ে স্বর্ণ জয় করেছেন এই তরুণী।

তাঁর এই জয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো চীন। কু আইলিংয়ের সেই জয়ধ্বনির সুবাস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী।

যুক্তরাষ্ট্রে অপার সম্ভাবনা নিশ্চিতে সত্বেও শিকড়ের টানে চীনে ফিরে আসেন এই তরুণী। আর চীনে ফিরেই সষ্টি করলেন ইতিহাস। উজ্জ্বল স্বর্ণাক্ষরে এই ইতিহাস লেখা হবে মহাকালের খাতায়।

সুপ্রিয় শ্রোতা বেইজিং অলিম্পিক্সের গান গাওয়া হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়। আজ আমরা শুনবো বাংলা ভাষায় বেইজিং অলিম্পিকসের গান। গানটির শিল্পী পিংকি ছেত্রী।

গান

শত প্রতিকূলতাতেও হার মানেনি দল: চীনা নারী ফুটবল দলের কোচ

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn