আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫৪
সিনচিয়াংয়ের নারীরা এক সময় কেবল গৃহস্থালি আর পারিবারিক কৃষিভূমিতে শ্রম দিতেন। কিন্তু এখন তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে নানা রকম পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। এতে তাদের যেমন জীবন মানের উন্নয়ন ঘটছে তেমনি সমাজও সার্বিকভাবে উন্নত হচ্ছে। শুনুন এমন একজন গ্রামীণ নারীর গল্প।
সিনচিয়াংয়ের নারী আলমা শেইখ। তিনি গবাদি পশুর চিকিৎসক। সিনিয়র ভেটেরিনারিয়ান আলমা শেইখ সিনচিয়াংয়ের সাওয়ান সিটির ওয়েস্ট গোবি টাউনে বাস করেন। ২০ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি। গরু, ভেড়া ও অন্যান্য গৃহপালিত পশুর চিকিৎসায় পুরো গ্রামের তিনি নির্ভরযোগ্য ডাক্তার। আলমা বলেন,‘যখন প্রথম এই পেশায় আসি তখন আমি অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষা নেই। ’
আলমা তখন ইনজেকশনও দিতে জানতেন না। অথচ এখন গবাদি পশুর অপারেশনও করছেন দক্ষ হাতে। পশুপালকদের মধ্যে তিনি খুব জনপ্রিয়। তাদের তিনি পরামর্শ দেন কিভাবে উন্নত জাতের গবাদি পশু পালন করতে হয়, কিভাবে পুষ্টিকর খাবার দিতে হয়। গবাদি পশুর রোগ বালাই প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তিনি।
এই এলাকার গবাদি পশুর উন্নয়ন ঘটার ফলে গ্রামবাসীদের আয় রোজগার বাড়ছে। উন্নত হচ্ছে জীবন মান। তিনি বলেন, ‘পশুপালকদের সমস্যা সমাধান আর গবাদি পশুর চিকিৎসার পর যখন সফল হই, তখন সবচেয়ে আনন্দ হয়। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।’
সমাজে সম্মানজনক অবস্থানও পেয়েছেন আলমা। তার স্বামী একটি ভেটেরিনারি ওষুধের দোকান দিয়েছেন। সেখান থেকে আয় হচ্ছে ভালো। এই দম্পতির কন্যা সন্তান স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। সে স্কুলে নাচ গানও শিখছে। সুখী পরিবার গড়েছেন তারা।