আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৪৬-China Radio International
চীনের উইগুর স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে বাস করেন আরও অনেক জাতির মানুষ। কাজাখ জাতির একজন নারী কিভাবে উটের খামার গড়ে তুলছেন। সে বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন।
মায়ের স্নেহ ও যত্ন নিয়ে উটদের পালন করেন কাজাখ জাতির মুসলিম নারী আইডেন এরজান। সিনচিয়াংয়ের ফুহাই জেলায় আইডেন এরজান ও তার স্বামী আমান মুহামেত উটের খামারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন।
উটগুলো মাঝে মাঝে দুষ্টুমিও করে। তখন তাদের স্নেহের সঙ্গে শাসন করতে হয়। ঠিক যেন মানবশিশু। এভাবেই উটদের পালন করেন আইডেন এরজান।
বিয়ের আগে এরজান কখনও উট দেখেননি। ঘোড়ায় চড়া বা মোটরবাইক চালাতেও জানতেন না তিনি।
বিয়ের পর ফুহাইতে এসে প্রথম উট দেখেন। মোটর বাইক চালানো আর উটের দুধ দোয়ানো শেখেন।
২০০৫ সালে বিয়ে হয় এরজান ও আমানের। প্রথমে তাদের ছিল মাত্র দুটি উট। খামারের এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। উটের দুধ দোয়ানো হয় মেশিনে।
সকাল সাতটায় উটের দুধ সংগ্রহের পর উটগুলোকে ৯টার দিকে চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। মরুভূমির মধ্যে ছোট ছোট গাছের ঝোঁপ। এগুলোই উটের খাদ্য। আলাদা করেও খাবার আর পানি দেয়া হয় ওদের।
কাজাখ জাতির মানুষ উটের দুধের তৈরি চা খেতে ভালোবাসে। আরও নানা রকম খাবার তৈরি হয় এ থেকে।
এরজান ও আমানের দুই সন্তান। মেয়েটি বড়। জুনিয়র হাইস্কুলের থার্ড গ্রেডে আর ছেলেটি ফিফথ গ্রেডে পড়ছে।ভবিষ্যতে ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে। এরজান আর আমান তাদের উটদের ছেড়ে একদিনও বাইরে থাকতে পারেন না। ১৫ বছর ধরে ওদের পালন করছেন এই দম্পতি। উটের পাল নিয়ে ভীষণ সুখী তারা।
সংগীত শিল্পী ছাং ফাংইউয়ান