আকাশ ছুঁতে চাই ৪৪-China Radio International
সুপ্রিয় শ্রোতা , আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান আকাশ ছুঁতে চাই। চীনের মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের মধ্যে প্রথম নারী থাইকোনট হলেন ওয়াং ইয়াফিং। তার এই আকাশ ছোঁয়া সাফল্য নিয়ে শুনুন একটি প্রতিবেদন
চীনের মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশকারী প্রথম নারী ওয়াং ইয়াফিং
সম্প্রতি চীনের মহাকাশযান শেনচৌ ১৩ যে তিনজন নভোচারীকে বহন করে স্পেস স্টেশনে নিয়ে গেছে তার মধ্যে রয়েছেন নারী সদস্য ওয়াং ইয়াফিং। তিনি প্রথম চীনা নারী থাইকোনট যিনি মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশ করলেন। ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো শেনচৌ ৫ স্পেসশিপ লঞ্চ করা হয়। ওয়াং তখন বিমানবাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন। টিভিতে তিনি চীনা নভোচারীদের দেখে খুব অনুপ্রাণিত হন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছিল, চীনের পুরুষ নভোচারী আছে, কবে নারী নভোচারী হবে?’
২০০৯ সালে নারীদেরও মহাকাশ প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তিনি অ্যাপ্লাই করেন। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা আসে। তারা মনে করেন একজন নারীর জন্য এটা বিপদ জনক। ওয়াংয়ের বাবা তো বলেই বসেন, ‘পৃথিবীর আকাশে প্লেন চালানোই যথেষ্ট। মহাশূন্যে যাওয়াটা অনেক বিপদের হতে পারে।’ তবে পরে তারা রাজি হন। ২০১৩ সালে তিনি প্রথম শেনচৌ ১০ এর মহাকাশ অভিযানে অংশ নেন। তিনি বলেন,‘শেনচৌ ১৩ মিশন পুরোপুরি নতুন ধরনের কাজ। এখানে রয়েছে নতুন রকমের চ্যালেঞ্জ। এখানে ফ্লাইট টাইম অনেক বেশি। মহাকাশ স্টেশনের কাজগুলোও বেশ কঠিন ও জটিল।’
ওয়াংকে কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। ২০১৩ সালে ওয়াংয়ের কোন সন্তান ছিল না। কিন্তু এখন তার পাঁচ বছরের একটি মেয়ে আছে। তার মেয়ে সবসময় মায়ের ছবি টিভিতে দেখলে বলে, ‘ঐ যে মা’। মেয়ের জন্য মহাকাশস্টেশন থেকে উপহার আনবেন তিনি। সেটি হবে তার ছবি ও কাজ যা হবে মেয়ের জন্যও গৌরবের।
চীনা তরুণদের আইকন প্রকৌশলী সুন ছুন
চীনের একটি তাকলাগানো প্রকল্প হলো কুইচোও প্রদেশের টেলিস্কোপ প্রকল্প।অন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন নারী প্রকৌশলীও। এমনি একজন নারী প্রকৌশলী সুন ছুন। পাহাড়ের উপরে স্থাপন করা এই রেডিও টেলিস্কোপে উঠে আসে মহাকাশের গোপন রহস্য।