বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই ৪৪-China Radio International

criPublished: 2021-10-21 19:33:27
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বাংলাদেশে গ্রামীণ নারীরাও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে এখন আমরা কথা বলছি বেসরকারী সেবা সংগঠন পল্লীশ্রীর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শামীম আরা বেগমের সঙ্গে। তিনি দিনাজপুরে গ্রামীণ নারীর উন্নয়নে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কাজ করছেন। দিনাজপুর থেকে ভার্চুয়ালি তিনি যোগ দিচ্ছেন আমাদের সঙ্গে।

আমাদের অনুষ্ঠানে আপনাকে স্বাগত জানাই।

শামীম আরা বেগম পল্লীশ্রীর কর্ণধার হিসেবে দিনাজপুরের নারী উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি গ্রামীণ নারীদের আয়মূলক প্রকল্পে সম্পৃক্তকরণের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের অবস্থান আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে গ্রামীণ নারীদের সম্পৃক্তকরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন পরীক্ষামূলক ভাবে একটি গ্রামের নারীদের হাতে স্মার্টফোন দেয়া হয়েছে। এই স্মার্টফোনের কয়েকটি অ্যাপের মাধ্যমে তারা অনেক সচেতন হয়েছেন। তারা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ করতে পারছেন সহজে। তারা সঠিক দামটি পাচ্ছেন।জরুরি প্রয়োজনে তারা সাহায্য পাচ্ছেন স্মার্টফোনের অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে। গ্রামীণ নারীদের উন্নয়নে প্রধান সমস্যা হলো নিরাপত্তাহীনতা। গ্রামীণ নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব না হরে তাদের টেকসই উন্নয়নও সম্ভব হবে না।

পল্লীশ্রী দিনাজপুরের বিভিন্ন গ্রামে নারীদের ক্লাব গঠন করেছে। নারীদের এই ক্লাব তাদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কাজ করছে। এই ক্লাবে তারা নিজেদের সুখ-দুঃখের আলাপ করতে পারেন এবং পরষ্পরের কাছ থেকে সহযোগিতা লাভ করতে পারেন।

নারী শিক্ষায় সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানালেন ফং লিইউয়ান

মেয়েদের শিক্ষায় আরও সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের স্ত্রী এবং বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও শিল্পী ফং লিইউয়ান। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে আরো সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। বিস্তারিত রয়েছে প্রতিবেদনে

মেয়ে ও নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের স্ত্রী ফং লিইউয়ান। শুক্রবার ইউনেস্কো আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত ফং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে মেয়ে শিশু ও নারী শিক্ষার উন্নয়নে এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, মহামারী কোভিড-১৯ এর সময়ে মেয়েদের উপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তা কাটিয়ে উঠতে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য অর্জনে আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় এবং সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মেয়েদের মানসম্মত অনলাইন শিক্ষার সংস্থান বাড়াতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেন ফং লিইউয়ান। নারীদের কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা বাড়াতে প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ দরকার বলে মনে করেন তিনি। ব্রাজিল ও মোজাম্বিক থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এই পুরস্কার নারীদের আরো বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে। ২০১৫ সালে চীন এবং ইউনেস্কো কর্তৃক এই পুরস্কার দেয়া কার্যক্রম চালু করা হয়। এর ফলে অসংখ্য নারী জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন এবং স্বপ্ন পূরণ করতে পারছে। তারা আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে। ফং যোগ করেন, ক্রমবর্ধমান যত্ন এবং সহায়তা বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ সমতার উন্নয়ন ঘটাতে পারে। চীন এবং ইউনেস্কোর মধ্যে সহযোগিতায় এই পুরস্কারের দ্বিতীয় মেয়াদ চলছে জানিয়ে ফং লিইউয়ান প্রত্যাশা করেন, নারীর অগ্রযাত্রায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইউনেস্কোর এই পুরস্কার ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের অসামান্য এবং উদ্ভাবনী অবদানের জন্য দেয়া হয়।

এখন শুনবেন বিশিষ্ট শিল্পী ফং লিইউয়ানের কণ্ঠে একটি জনপ্রিয় গান।

ফং লিইউয়ানের গান

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn