বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৩৯-China Radio International

criPublished: 2021-09-16 23:07:20
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পরই সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় নারীদের অধিকার নিয়ে। আগের তালিবান শাসনামলে নারীর অধিকার সুরক্ষিত না থাকার অনেক নজির চলে আসে উদাহরণ হিসেবে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে ক্ষমতায় আসা নতুন তালিবান ঘোষণা করে ‘নারী অধিকার সুরক্ষিত থাকবে আফগানিস্তানে। এরই মধ্যে শিক্ষা ও চাকরিসহ সমাজের সব ক্ষেত্রে নারীদের কাজ করার অনুমতি দেয়ার কথাও বলছেন তালিবান নেতারা। বিস্তারিত প্রতিবেদনে

কেমন আছেন আফগান নারী

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করে তালিবান। সে সময় ঘরের বাইরে কাজ করা তো পরের কথা, নারীদের ছিলো না স্কুলে যাওয়ারও অধিকার। তাই তালিবান শাসন নিয়ে পশ্চিমা সমাজে আছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। দীর্ঘ ২০ বছর পর মার্কিন বাহিনীকে হঠিয়ে তালিবান আবারো ক্ষমতায় চলে আসায় তাই এবারো পুরনো শঙ্কা জেগে উঠেছে। এবারো কি গৃহবন্দী হতে হবে আফগান নারীদের?

একজন নারী অধিকারকর্মী বলেন,‘নারী এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সহিংসতা প্রতিরোধে দীর্ঘ দিন ধরে আমি কাজ করে যাচ্ছি। জানিনা তা কতোটা অব্যাহত রাখতে পারবো।’

তবে সমস্ত জল্পনা-কল্পনা আর আশঙ্কা ছাপিয়ে নতুন স্বর তালিবানের কণ্ঠে। ক্ষমতা গ্রহণের পরপর কাবুলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তালিবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদের স্পষ্ট ঘোষণা, বাইরে কাজ করতে কোন বাধা নেই নারীদের। সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রে নারীরা কাজ করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনিক নতুন কাঠামো গঠনের পর সিনিয়র পদগুলো যোগ্যতার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে।

এদিকে, গেল ২৬ আগস্ট চায়না মিডিয়া গ্রুপকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে অংশ নেন কাতারে অবস্থিত তালিবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহেইল শাহীন। তিনি জানান, নারীরা সামাজিক সব কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্মস্থল অনুযায়ী কিভাবে হিজাব পরতে হবে তাও তারা নির্ধারণ করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন নারী সাংবাদিকরা এখানে কাজ করছেন, তাদের সমালোচনার স্বাধীনতাও রয়েছে। শিক্ষক ও ডাক্তারসহ অন্যান্য পেশায় যারা রয়েছেন তারাও স্বস্ব কর্মস্থলে কাজ করছেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

আন্তর্জাতিক সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করেন, সদ্য ক্ষমতায় আসা তালিবান যেহেতু আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন চায় তাই নারী অধিকারের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে তাদের। এরই মধ্যে নারীদের প্রতি তাদের নমনীয় মনোভাব ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয় বলেও মনে করেন তারা।

সুপ্রিয় শ্রোতা, চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে জীবনমান উন্নত হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই। নারীরা আগে শুধু গৃহস্থালি ও পারিবারিক কৃষিক্ষেত্রে কাজ করতেন। কিন্তু এখন তারা গ্রহণ করছেন উচ্চ শিক্ষা, এগিয়ে চলেছেন বিভিন্ন পেশায়। শুনুন সিনচিয়াংয়ের নারীদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন

নতুন পেশায় সিনচিয়াংয়ের নারী

নারীরা আগে যেখানে কেবল ঘরের কাজে ও পারিবারিক কৃষিতে শ্রম দিতেন এখন সেখানে তারা নিজস্ব উপার্জন করে পালটে দিচ্ছেন জীবন।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn